খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা : পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে খাগড়াছড়ি মং সার্কেলে রাজপুণ্যাহ উৎসব শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে সারাদিন চলবে।

রাজপুণ্যাহর মূল আকর্ষণ হলো খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী ঐতিহ্যবাহী প্রথায় রাজস্ব আদায় করবেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা তিন সার্কেলের আওতায়। রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল, বান্দরবান বোমাং সার্কেল আর খাগড়াছড়ি মং সার্কেল। মূলত বাৎসরিক রাজকর আদায়ের আনুষ্ঠানিকতাকে ঘিরে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

মূলত এ উৎসব মারমা সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান হলেও উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে। উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে চলছে সাজসাজ রব।

সকাল সাড়ে ১০টায় মং সার্কেলের চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী রাজপ্রথা অনুযায়ী রাজকীয় পোশাক ও কোমরে স্বর্ণখচিত তলোয়ারসহ অতিথিদের নিয়ে মঞ্চে আগমন করেন।

এর পর মং সার্কেলের ৮৮ জন হেডম্যান এবং ৭৭৫ জন কারবারী ভূমি ও ফসলের খাজনার একটি অংশ সার্কেল চিফ বা রাজার কাছে জমা দেবেন।

রাজপুণ্যাহ উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হিরণ জয় ত্রিপুরা জানান, মং সার্কেলের অষ্টম রাজা হিসেবে সাচিংপ্রু চৌধুরীর এটি হবে চতুর্থ রাজপুণ্যাহ উৎসব। এ উৎসবে খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের ১২১ জন হেডম্যান (মৌজা প্রধান) এবং ১২০০ কারবারী (পাড়া প্রধান) আনুষ্ঠানিকভাবে জুম কর প্রদান করবেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার কাজী শামসুল ইসলাম পিএসসি, জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নুল আবেদীন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচএমপি/ইইউ/এমডি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪)