রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে তাড়া
রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মচারীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচলেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কামরুজ্জামান রিপন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রুয়েটে তিন ভ্যান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে রুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ৯ জনের স্থানে ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকেই মাস্টার রোলে কাজ করা লোকদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন লোকদের নিয়োগ দেওয়ায় শনিবার সকাল থেকেই প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় কর্মচারীরা। ‘কর্মচারী সমিতি’ ও ‘মাস্টার রোল সমিতি’ নামে কর্মচারীদের দুটি সংগঠন এ নিয়োগ বাতিল করে মাস্টার রোলে কাজ করা লোকদের নতুন করে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে সকাল ৯টা থেকেই প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করে আসছিলেন।
সকাল থেকেই প্রশাসন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মর্ত্তুজা আলী ও রেজিস্ট্রার আশরাফুল আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা না আসলেও সাড়ে ১০টার দিকে অফিসে আসেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক। খবর পেয়ে কর্মচারীরা ছাত্রকল্যাণের অফিসে ধাওয়া করলে তিনি ভয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় নিয়োগ বঞ্চিত কর্মচারীরা তার অফিসের জানালার কাচ ও নেমপ্লেট ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কর্মচারী সমিতির সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, ‘অস্থায়ী লোকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টাকার বিনিময়ে বাহিরের নতুন লোকদের নিয়োগ দিয়েছে। তাই আমরা দাবি করেছি সিন্ডিকেটের ওই নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে মাস্টার রোলে কাজ করা লোকদের নিয়োগ দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ করে অবস্থান করব। প্রয়োজন হলে কাজ বন্ধ করে আমরা টানা কর্মসূচি দেব।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুন নূর বলেন, ‘রুয়েটে নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
(এমএএ/এনডিএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪)