চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ওই তিন বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন কিভাবে কোষ থেকে কোষে রাসায়নিক অণুর পরিবহন নিয়ন্ত্রিত হয়। এ পরিবহন ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। ফলে স্নায়ুবিক সমস্যা ও ডায়াবেটিকসহ নানান জটিল রোগ হতে পারে।
এসব রোগের চিকিৎসায় নতুন পখ দেখাবে নোবেলজয়ী তিন গবেষকের এ আবিষ্কার।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, মানবদেহের প্রতিটি কোষ একেকটি রাসায়নিক অণুর কারখানা। কোষের মধ্যেই রাসায়নিক অণুর সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে নির্দিষ্ট স্থানে। কোষ থেকে কোষে বা কোষের বাইরে এসব রাসায়নিক অণুর পরিবহন হয় প্যাকেজ আকারে।চিকিৎসাশাস্ত্রে একে বলা হয় ‘ভেসিকল’। সঠিক সময়ে এবং দেহের সঠিক স্থানে এই ভেসিকল পৌঁছে দেওয়ার কাজটি কোষ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, তা-ই উদ্ভাবন করেছেন নোবেলজয়ী ওই তিন গবেষক।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গবেষক র্যান্ডি সেকম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিক্যুলার ও সেল বায়োলজির অধ্যাপক। কোষ পরিবহনের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় যেসব জিনের মাধ্যমে, তা শনাক্ত করেছেন তিনি।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল বায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেমস রথম্যান সন্ধান পেয়েছেন একটি প্রোটিন যৌগের। এটির কাজ ‘ভেসিকল’ বা রাসায়নিক অণুর প্যাকেজ স্থানান্তরে সহায়তা করা।
সেকম্যান ও রথম্যানের উদ্ভাবনের পরবর্তী ধাপটি সম্পন্ন করেছেন জার্মানির নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস সুডহফ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পদক তুলে দেওয়া হবে বিজয়ীদের হাতে। পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার)।
(দিরিপোর্ট২৪ডট/এমএআর/এমডি/অক্টোবর ০৮, ২০১৩)