দ্য রিপোর্ট প্রতিনিধি : ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। কিন্তু এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভাজন।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী দলগতভাবে একক প্রার্থী দিলেও আওয়ামী লীগে রয়েছে বিভক্তি। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলটির দুজন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। ব্যাপারটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে রয়েছে অস্বস্তি।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সুন্দরবন উপকূলবর্তী এ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ২৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৬ হাজার ৮২৫ জন ও মহিলা ভোটার ৯২ হাজার ৪৫২ জন। মোট ভোট কক্ষ ৮৪টি এবং বুথ সংখ্যা ১৪৪টি।

নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের ৫ প্রার্থী হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোস্তাকিম। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সরদার হাফিজুর রহমান।

আর বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম। জাতীয় পার্টির (এরশাদ) একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট স ম সালাউদ্দিন। জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা রিয়াছাত আলী বিশ্বাসের ছেলে মুর্তাজা আলী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেকই আওয়ামী লীগের। এ পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিরুলাল বিশ্বাস। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জিএম মতিয়ার রহমান ও এসএম মাহফিজুল ইসলাম। জামায়াতের একক প্রার্থী হয়েছেন শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। বিএনপির একক প্রার্থী জুলফিকার আলী জুলি। এ ছাড়া শেখ জাহিদুল ইসলাম তোতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজনের মধ্যে ৩ জন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের। এ পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন মজিদা খানম। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক পারভিন নাসিমা আক্তার ও শায়লা পারভিন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত ও জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী না থাকলেও বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জাহানারা খাতুন।

এই উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার হিন্দু ভোটার রয়েছে। আগের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম মোস্তাকিম ৮৭ হাজার ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমআর/এমএটি/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪)