আলতাফ পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা ও গবেষণার সঙ্গে জড়িত। তিনি দলিতদের নিয়ে কাজ করেছেন। এ ছাড়া রাজনীতি বিষয়েও তার আগ্রহ প্রবল। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ, কর্নেল তাহের ও জাসদ রাজনীতি’ (১৯৯৫) এবং ‘কারা জীবন, কারা ব্যবস্থাপনা, কারা বিদ্রোহ’ (২০০০)। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওয়াহিদ সুজন

এবার কী কী বই আসছে? কোন প্রকাশনী বের করছে?

আমার লেখালেখি একেবারেই বইমেলাকেন্দ্রিক নয়। তবে কাকতালীয় বলতে হবে- এবার একটা বই প্রকাশিত হচ্ছে। নাম ‘মউত কা সওদাগর’। এটা মূলত ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির উত্থানকে কেন্দ্র করে লিখিত। ক্ষুদ্র আয়তনের গ্রন্থ। প্রকাশ করছে তরফদার প্রকাশনী।

বই প্রকাশে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কি?

না, বিশেষ কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। এই বইয়ের কিছু অংশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেটা দেখে প্রকাশকই আগ্রহ প্রকাশ করে পুরো লেখাটা নিলেন।

বইকে কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন?

মূলত মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলোতে রিডার্স ক্লাব গঠন করে। বিভিন্ন গণমাধ্যম আরও বেশি গ্রন্থ পর্যালোচনা প্রকাশ ও প্রচার করেও দর্শক-শ্রোতাকে পাঠকে পরিণত করতে পারে।

এবারের মেলায় বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে বলুন?

আমি মেলা থেকে কম বই-ই ক্রয় করি। কারণ সারা বছর যখন যেটা দরকার হচ্ছে সেটাই তো কিনছি। তারপরও কিছু বই নিশ্চয়ই কিনবো। আমি মূলত রাজনৈতিক বই খুঁজবো এবার। বিশেষ করে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ এই সময়টা এ মুহূর্তে আমার আগ্রহের বিষয়। গবেষণার বিষয়ও বটে। যে কারণে উল্লিখিত সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গবেষণামূলক বই ও আত্মজীবনী পেলে সেগুলো সংগ্রহ করবো। কিছু অনুবাদ সাহিত্য খুঁজবো- ছেলের জন্য।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

আমি বরাবরই মনে করি, বইমেলা আয়োজনের হাত থেকে বাংলা একাডেমিকে নিষ্কৃতি দেওয়া উচিত। এটা একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দেওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই এর জায়গাও বদল করা উচিত। সে ক্ষেত্রে এর জন্য একটা উত্তম জায়গা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়। আমি একদিন মাত্র মেলায় গিয়েছি। ছন্দহীন মনে হয়েছে।

লেখালেখির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী।

আমি ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত রাজনৈতিক ঘটনাবলীর ওপর একটি গবেষণা গ্রন্থ লিখছি। এটা শিগগিরই প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/সা/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪)