হুমায়ূনময় মেলা
মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : হুমায়ূন আহমেদবিহীন দুটি মেলা অতিবাহিত হতে চলেছে। স্বশরীরে না থাকলেও পাঠকরা তার উপস্থিতি খুঁজে নিচ্ছেন বইয়ের পাতায়। তাই স্টলে স্টলে চলছে হুমায়ূন আহমেদের তালাশ।
হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় অনেক বই প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা কাকলী। কাকলীর বিক্রয়কর্মী আহমেদ সুমন জানান, ‘যে সব দর্শনার্থী বা ক্রেতা আসে তাদের মুখে একবার হলেও হুমায়ূন আহমেদের নামটি উচ্চারিত হয়’।
এমনকি মেলা প্রাঙ্গণে জনশূন্যতা থাকলেও অন্যপ্রকাশের সামনে ভিড় লেগেই থাকে শুরু থেকে শেষ অবধি। অন্যপ্রকাশ লেখকের শেষ কয়েক বছরের বেশির ভাগ বইয়ের প্রকাশক। অন্যপ্রকাশের মিডিয়া ম্যানেজার শিশির জানান, ‘আমাদের বিক্রির শতকরা নিরানব্বই ভাগ বই হুমায়ূন স্যারের।’
পাঠক শুধু ব্যাগভর্তি হুমায়ূন রচনা নিয়ে থেমে নেই, কেউ কেউ তাকে নিয়ে আলাপেও মজে আছেন। কথা হচ্ছিল নজরুল মঞ্চের কাছে বসে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অজয় সিংহ রায় ও শুভাশীষ দেবনাথের সঙ্গে। তাদের আলাপের বিষয়ও হুমায়ূন আহমেদ। অজয়ের মতে, “হুমায়ূন আহমেদ তার মননশীলতা শিল্পের প্রায় সব শাখাতেই ছড়িয়ে দিয়েছেন। ‘নন্দিত নরকে’ লিখে প্রমাণ করেছেন তিনি একজন উঁচুমানের ঔপন্যাসিক, ‘কোথাও কেউ নেই’ লিখে প্রমাণ করেছেন তিনি একজন ভালো নাট্যকার, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রে দেখিয়েছেন একজন নির্মাতা হবার কৌশল এবং ‘ও আমার উড়ার পঙ্খিরে’সহ বেশ কয়েকটি গান লিখে একজন সফল গীতিকারের অবয়ব নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন।”
শুভাশীষ কিছুটা সমালোচনার সুরে বললেন, ‘হুমায়ূনের লেখার যে বিশাল ভাণ্ডার তার কতটুকুই বা পাঠক কিংবা ইতিহাস মনে রাখবে! নিছক আনন্দ দানই তো আর সৃষ্টির দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়।’
তর্ক যাই হোক, হুমায়ূন আহমেদের রচনা নিয়ে শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/ডব্লিউএস/সা/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪)