দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : ঈর্শনীয়ই বটে, ৭ টেস্ট ম্যাচের ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই ৩ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেছেন মুমিনুল হক। সঙ্গে ৩ হাফসেঞ্চুরি, করেছেন ১২৩৬ রান। গত বছর মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই অভিষেক হয়েছে ছোটখাটো গড়নের এ ক্রিকেটারের। এই সাগরিকায় গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১৮১ রানের ইনিংসের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে। সেখানেই প্রেরণা খোঁজার প্রচেষ্টা ছিল। শনিবার আবারও চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলেছেন ১০০* রানের নয়নাভিরাম এক ইনিংস। এমন এক সেঞ্চুরি করেছেন যা আড়াল করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার রানের পাহাড়।  ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের সঙ্গে তাই এসেছেন মুমিনুলও। বলেছেন আলাদা আলাদা কথা। বলেছেন ম্যাচের কথা, চাপের কথা, নার্ভাসনেসের কথা। আরও কি কি...

প্রশ্ন : সব সময় চাপে রান করেন, এরকম চাপে খেলতে কতটা এনজয় করেন?

মুমিনুল : প্রথমে একটু চাপে ছিলাম। উইকেট স্পিনারের জন্য সহায়ক ছিল। এ রকম চাপে ভালো খেললে, ভালো লাগে। আমার দলের যে পরিকল্পনা ছিল, সেভাবে খেলার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন : কি পরিকল্পনা ছিল ?

মুমিনুল : সময় কাটানো, সেশন বাই সেশন খেলা।

প্রশ্ন : আপনার ক্যারিয়ারে ৩টি সেঞ্চুরিই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে। এর মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?

মুমিনুল : আমি এগিয়ে রাখব আজকের (শনিবার) সেঞ্চুরিটিকে। কারণ আজ (শনিবার) ব্যাটিং করতে কষ্ট হচ্ছিল। ওরা খুব ভালো জায়গায় বল করছিল। অন্যদিকে আমরা চাপে ছিলাম।

প্রশ্ন : পুরো দিন ক্রিজে থাকতে হবে এমন পরিস্থিতিতে সবাই চাপে ছিল কিনা?

মুমিনুল : টেস্ট ক্রিকেটে শেষের দিন টিকে থাকাটা একটু কঠিন হয়ে যায়। শেষের দিকে উইকেটটা একটু রাফ অ্যান্ড টাফ থাকে। সে সুযোগটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ। সবাই একটু চাপে ছিল।

প্রশ্ন : সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে নার্ভাস ছিলেন?

মুমিনুল : হ্যাঁ, খুব নার্ভাস লাগছিল। সব বড় খেলোয়াড়দের নাইনটির ঘরে গিয়ে চাপে পড়ে। আমারও তাই হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছিলাম প্রথমে গিয়ে লাঞ্চ পর্যন্ত খেলব, তারপর চা বিরতি পর্যন্ত, তারপর চা বিরতির একঘণ্টা। দল আমাকে যেভাবে বলেছে আমি সেভাবেই খেলেছি। একঘণ্টা, একঘণ্টা সেশন বাই সেশন খেলার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে ১০০ হয়ে গেছে আল্লাহর রহমতে।

প্রশ্ন : ড্র কল প্রথমে কে করেছিল ?

মুমিনুল : ওদের পক্ষ থেকেই ছিল। ওরাই তো বলল।

(দ্য রিপোর্ট/আরআই/এএস/ওআইসি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪)