আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে জামাল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ফ্রিকিক থেকে হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড সনি নর্দের অসাধারণ এক গোল। আর এক গোলেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। শনিবার কলকাতা মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে ফেডারেশন কাপ জয়ীরা।
এর আগে আইএফএ শিল্ডে বাংলাদেশের কোন ক্লাবের বিপক্ষে হারেনি মোহনবাগান। ১৯৭৪ সালে আবাহনীকে ৫-০ গোলে এবং ২০০৮ সালে মোহামেডানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল তারা।
ভিসা জটিলতায় ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠানরত ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট আইএফএ শিল্ডে অংশ নেয়াটাই অনিশ্চিত ছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। পরে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ভিসা মিলেছিল তাদের। এ টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলকাতা মোহামেডানের কাছে ২-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়ার শঙ্কায় পড়েছিল অভিজাত পাড়ার দলটি। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে সিকিম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিল তারা। সেমিফাইনালে খেলতে হলে শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে কলকাতা মোহনবাগানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প পথ খোলা ছিল না তাদের। এ সমীকরণ মাথায় রেখে ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে চড়াও হয়ে খেলেছে যোসেফ আফুসির শিষ্যরা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া সনি নর্দের চমৎকার এক ফ্রিকিকে গোলের দেখা পেয়েছে হলুদ-নীল শিবির। হাইতিয়ান এ ফরোয়ার্ডের ফ্রিকিক সাইডপোস্টে লেগে জালে জড়িয়েছে (১-০)। ৩৩ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের। পঙ্কজের শট সাইডপোস্টে লেগে ফিরে না এলে গোল পেতে পারত স্বাগতিক দল। ৩৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া সনি নর্দের শট সাইডপোস্ট ঘেঁসে মাঠের বাইরে না গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতো। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে শেখ জামাল।
বিরতির পর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে খেলেছে মোহনবাগান। ৫১ মিনিটে গোলরক্ষক জিয়াকে একা পেয়েও ব্যর্থ ছিলেন শঙ্কর ওড়াও। তার শট জিয়ার পায়ে লেগে ফিরে আসে। ৫২ মিনিটে মামুনুলের ফ্রিকিক পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে ওপেন নেট মিস করেছেন শঙ্কর ওড়াও।৮১ মিনিটে মামুনুল ইসলামের কর্নার থেকে বল পেয়ে নাসির উদ্দিনের শট পোস্ট ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে না গেলে শেখ জামালের জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। ৮৩ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ভুল করে বসেছিলেন গোলরক্ষক জিয়া। শট নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষে ফুটবলার অনিচ ইচের পায়ে বল মেরেছিলেন তিনি। এ সুযোগ লুফে নিয়ে অনিচ ইচের শট সাইডপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল ক্লিয়ার করেছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন। শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ গোল পরিশোধ করতে না পারায় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ জামাল। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।
অন্যদিকে এ হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে আইএফএ শিল্ডে ২০বারের চ্যাম্পিয়নদের। প্রায় তিন বছর ধরেই কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি কলকাতা মোহনবাগান।
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এনআই/ ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪)