দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সিরিয়ার ক্ষমতাসীন আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীরা পরস্পরকে হোমস শহরে ঘোষিত যুদ্ধ‍বিরতি লংঘনের জন্য দোষারোপ করেছে। শুক্রবার থেকেই হোমসে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতিসংঘ যেন নির্বিঘ্নে শহরটিতে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদেরকে উদ্ধার ও দুর্গতদের জন্য খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করতে পারে সেজন্যই এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু শনিবার সকালে হোমসে মর্টার হামলার আওয়াজ শোনা গেছে। হোমসের গভর্নর তালাল আল বারাজি সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোই এই হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারের বাহিনীকেই দায়ী করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ত্রাণ সহায়তা নিয়ে শহরটিতে প্রবেশ করবে কি না তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য, পানি ও ঔষধ ভর্তি ট্রাকগুলো শহরের বাইরে অপেক্ষায় রয়েছে।

যুদ্ধবিরতির প্রথমদিন শুক্রবার হোমসের অবরুদ্ধ এলাকা থেকে জাতিসংঘ ৮০ জন নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে উদ্ধার করে।

গত প্রায় দেড় বছর ধরে আসাদ বাহিনী কর্তৃক হোমসের অবরুদ্ধ এলাকায় প্রায় ৩ হাজার বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে। গত কয়েক মাস ধরে খাদ্যের অভাবে তারা ঘাস-লতা-পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করছেন বলেও শোনা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪)