নীতিমালা ভঙ্গ করল ভাষাচিত্র ও আগন্তুক প্রকাশনী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্টলের সামনে মোড়ক উন্মোচন করে মেলার নীতিমালা ভঙ্গ করেছে ভাষাচিত্র প্রকাশনী। একইসঙ্গে উন্মোচন অনুষ্ঠানে পটকাও ফাটিয়েছে প্রকাশনা সংস্থাটি।
একুশে গ্রন্থমেলার নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্টলের সামনে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা যাবে না। কিন্তু নীতিমালার তোয়াক্কা না করে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির যুগ্ম পরিচালক খন্দকার মনিরুল ইসলামের প্রকাশনা সংস্থা ভাষাচিত্র স্টলের সামনে মোড়ক উন্মোচন ছাড়াও পটকা ফাটায়।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আগামীবার কলকাতা থেকে পটকা এনে ফাটিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করব।’ এ সময় তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে বিষয়টি হালকা করতে রসিকতা শুরু করেন।
এর আগেও মনিরুলের বিরুদ্ধে নীতিমালা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তাকে এবার স্টল দিতে রাজি ছিল না মেলা পরিচালনা কমিটি। কিন্তু প্রকাশক নেতাদের চাপে তাকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এর আগে এবারের মেলায় প্রকাশনীটি নিজ স্টলের গায়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করে। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে তা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
অন্যদিকে আগন্তুক প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধেও নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকাশনীটি মেলায় তাদের স্টলে অন্য প্রকাশনা সংস্থার বই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন প্রকাশক।
অভিযোগের ভিত্তিতে আগন্তুক প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থার বই দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিলা প্রকাশনী, জাগৃতি প্রকাশনী, বিভাস প্রকাশনী, কথামেলা প্রকাশন, বুনোফুল ও বুক সেন্টার প্রকাশনা সংস্থার বই।
জানা গেছে, মেলায় এ সকল প্রকাশনীর শতাধিক বই বিক্রি করেছে আগন্তুক।
মেলায় নীতিমালা ভঙ্গ করে অন্য প্রকাশনা সংস্থার বই বিক্রি করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আগন্তুক প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী অর্ঘ সাহা মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা নীতিমালা বুঝি না। বইমেলায় বই বিক্রি করছি। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে একাডেমিকে জানান।’
এ প্রসঙ্গে একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব শাহিদা খাতুন বলেন, ‘গ্রন্থমেলার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্রকাশনী অন্য প্রকাশনীর বই বিক্রি করতে পারবে না। কেউ এমন কাজ করলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কমিটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪)