ফেনীতে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় কুমিল্লায় অস্ত্রসহ আটক ১
কুমিল্লা সংবাদদাতা : ফেনীতে স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে মাসুদ (২৬) নামের এক ডাকাতকে অস্ত্র ও ককটেলসহ আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার কিংছফুয়া থেকে শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক মাসুদ ভোলার দৌলতখান উপজেলার নুরুন্নবীর ছেলে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দ্য রিপোর্টকে জানান, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ফেনী সদরের আবেদীন জুয়েলার্সের সামনে ৩০-৩৫টি ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণ লুট করে ৭-৮ জনের ডাকাত দল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশানী এলাকায় পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। এ সময় ডাকাত দল মাইক্রোবাস নিয়ে মহাসড়ক থেকে পূর্ব দিকের গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ছুফুয়া থেকে মাসুদকে আটক করা হয়।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা ইতালির তৈরি নয় বোরের একটি পিস্তল, ডাকাত দলের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-ট-গ-৬৭৪৭) এবং মাইক্রোবাস থেকে ১৪টি ককটেল ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ ফেনী শহর, চৌদ্দগ্রাম বাজার ও সিলেটের স্বর্ণ দোকানে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৩০-৩৫টি ককটেল ফাটিয়ে জেলার বৃহত্তম স্বর্ণের দোকান আবেদীন জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৭০০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায় এক দল ডাকাত।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক জানান, ৮-১০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রাংক রোডের খাজা আহম্মদ গলিতে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা আবেদীন জুয়েলার্সে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্বর্ণ লুট করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ফেনী প্রেস ক্লাবের সামনে একটানা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পরে তারা আবেদীন জুয়েলার্সে হানা দেয় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আবেদীন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন লুট হওয়া স্বর্ণের ব্যাপারে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে ৭০০ ভরি স্বর্ণ লুট হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
(দ্য রিপোর্ট/আরইআর/জেপি/এমএইচও/এসকে/এমএআর/এএল/ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪)