তারেক সালমান ও মাহমুদুল হাসান, দ্য রিপোর্ট : বিতর্কিত সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর উপজেলা নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে বিএনপি। সর্বোচ্চসংখ্যক উপজেলায় দলসমর্থিত প্রার্থীদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণের চেষ্টা করছে দলটি। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিএনপি ও ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা সত্ত্বেও বেশিরভাগ উপজেলাতেই রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী।

এই নির্বাচনকে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন ফেল করা বিএনপি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। কিন্তু নিরঙ্কুশ বিজয়ে আশাবাদী দলটির একাধিক প্রার্থী একটি কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সরকার পর্যায়ের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তর উপজেলায় প্রথম পর্বের নির্বাচন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দেশের ৪০টি জেলার মোট ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ৬৭টি উপজেলাতেই বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও দলসমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী করে আনতে সিনিয়র নেতাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে বিএনপি প্রার্থীরা।

উপজেলা নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়েই কেন্দ্রীয়ভাবে দলের যুগ্ম মহাসচিবদের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেলও গঠন করেছে বিএনপি। এই সেল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রথম দফার ৯৭টি উপজেলায় দল ও জোটের একক প্রার্থী নির্ধারণে ভুমিকা রাখছেন বলে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন সেলের সদস্য ও বিএনপির দফতর সম্পাদক রিজভী আহমেদ। ওই সেল স্থানীয় দলীয় ও জোটের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একক প্রার্থী দিতে চেষ্টা-তদবির করে যাচ্ছেন বলে সেল সূত্রে জানা গেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ ও খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের চেষ্টা-তদবির সত্ত্বেও ঘোষিত ৯৭ উপজেলার অনেকগুলোতেই একাধিক দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে রিজভী আহমেদ আরও বলেন, স্থানীয় নেতারাই একক প্রার্থী নির্ধারণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি উপজেলার সমস্যা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা তা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। কিছু জায়গায় একাধিক প্রার্থী থাকলেও আশা করছি নির্বাচনের আগেই তা ঠিক হয়ে যাবে।

দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৯৭টি উপজেলার মধ্যে ৬৬টি উপজেলাতেই বিএনপি জোটের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। কোথাও বিএনপির একাধিক প্রার্থী আবার কোথাও বিএনপি-জামায়াত উভয় দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বগুড়া, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, সিলেট, নীলফামারী, খুলনা, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের একাধিক উপজেলায় বিএনপির একক এবং শরিকগতভাবে বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বগুড়া : বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার জেলা বগুড়ার মোট ১২টির মধ্যে ৬টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। উপজেলাগুলো হচ্ছে- সোনাতলা, দুপচাঁচিয়া, নন্দীগ্রাম, ধুনট, শেরপুর ও সারিয়াকান্দি।

এ সব উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে একক প্রার্থীকে সমর্থন দিলেও নির্বাচনে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে তিন উপজেলায় বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী একক প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ শুরু করেছে।

সারিয়াকান্দি : সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৯ দল সমর্থিত একক চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মাছুদুর রহমান হিরু মণ্ডল।

সোনাতলা : সোনাতলা উপজেলায় ১৯ দল সমর্থিত একক প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির।

দুপচাঁচিয়া : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুল গনি মণ্ডল।

ধুনট : ধুনট উপজেলায় ১৯ দলের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম তৌহিদুল আলম মামুন। তবে সেখানে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক দলীয় নেতা শাহজাহান আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হক ডুপলে।

নন্দীগ্রাম : নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমীর নূরুল ইসলাম মণ্ডল। উপজেলা বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- ইউনুছ আলী, দলের সাবেক উপজেলা সভাপতি তৌহিদুর রহমান খান শামীম চৌধুরী, পৌর বিএনপির সভাপতি আহসান বিপ্লব রহিম, থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ আলী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শ্রাবণী আকতার বানু।

শেরপুর : শেরপুর উপজেলায় ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী জামায়াত নেতা আলহাজ দবিবুর রহমান। বিদ্রোহী প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ।

১৯ দলের পক্ষ থেকে জামায়াতের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় জোটের অভ্যন্তরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর সকল প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও ১৯ দলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, দলীয়ভাবে সব উপজেলায় তিনটি পদেই সমর্থন দেওয়া হয়েছে। সমর্থনের বাইরে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় বিএনপির আহ্বায়ক আহাদজাদ মহসিন টিপু একক প্রার্থী।

কাশিয়ানী : এই উপজেলায় বিএনপি চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের উপজেলা সহসভাপতি আলহাজ মনির হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার, বিদ্রোহী প্রার্থী সদর উপজেলা যুবদল সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসাইন।

ভেড়ামারা : ভেড়ামারা সদর উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম আলম, বিদ্রোহী প্রার্থী শাজাহান আলী।

মানিকগঞ্জ : সিংগাইর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী খান মোহাম্মদ রুমি আর বিদ্রোহী প্রার্থী বিএনপি নেতা আবিদুর রহমান।

সাটুরিয়া : সাটুরিয়া উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী বশির উদ্দিন ঠান্ডু আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

দৌলতপুর : দৌলতপুর উপজেলায় ১৯ দলের একক প্রার্থী তোজাম্মেল হক তোজা।

নীলফামারী : ডিমলা উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী হলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাইসুল আলম চৌধুরী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুস সাত্তারও প্রার্থী হয়েছেন।

জলঢাকা : জলঢাকা উপজেলায় ১৯ দল প্রার্থী জামায়াতে ইসলামী নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী।

সৈয়দপুর : সৈয়দপুর উপজেলায় বিএনপির জেলা সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার ১৯ দলের একক প্রার্থী।

খুলনা : কয়রা উপজেলায় বিএনপির দুজন ও জামায়াতের একজন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মতিয়ার রহমান ও খুলনা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা তমিজ উদ্দিন।

দীঘলিয়া : দীঘলিয়া উপজেলায় বিএনপির একক প্রার্থী মাহফুজুর রহমান।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী উপজেলায় বিএনপির একক প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ খালেক। বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৯ দলের প্রার্থী হলেন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল হোসেন খান। আর বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ।

পাংশা : পাংশা উপজেলায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম একক প্রার্থী।

ঢাকা : জেলার ২টি উপজেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। উপজেলাগুলো হলো-দোহার ও নবাবগঞ্জ। সেখানে বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ছোট ভাই কামরুল হুদা ও নবাবগঞ্জে হুদার অনুসারী বর্তমান চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কুড়িগ্রাম : ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় বিএনপি থেকে উপজেলা সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা, জামায়াতে ইসলামী থেকে জেলা আমির হাফেজ আজিজুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন।

ফুলবাড়ী : ফুলবাড়ীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেন একক প্রার্থী।

উলিপুর : উলিপুর উপজেলায় পৌর বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী ও জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস প্রার্থী হয়েছেন।

সাতক্ষীরা : আশাশুনিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা রিয়াছাত আলীর ছেলে নূ আ ম মুরতাজুল আলী প্রার্থী হয়েছেন।

দিনাজপুর : কাহারোলে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ চৌধুরী একক প্রার্থী।

খানসামা : খানসামা উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান শাহ ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোফাচ্ছের হক শাহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী।

রংপুর : মিঠাপুকুর উপজেলায় ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী।

বদরগঞ্জ : বদরগঞ্জ উপজেলা- জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট বায়েজিদ ওসমানি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।

পীরগঞ্জ : পীরগঞ্জ উপজেলা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল একক প্রার্থী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : নাচোল উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা আবু তাহের ও এম মজিদুল হক এবং জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজগঞ্জ : রায়গঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা এবিএম আব্দুস সাত্তার ও বিএনপি নেতা আইনুল হক।

উল্লাপাড়া : উল্লাপাড়ায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট শামছুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা এডভোকেট জাহিদ হোসেন মিন্টু প্রার্থী হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় হয়েছেন বিএনপি সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু ও শহর জামায়াতের আমির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম।

কাজীপুর : কাজীপুর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ও এডভোকেট রবিউল হাসান।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলার একমাত্র সখিপুর উপজেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক খোরশেদ আলম দল সমর্থিত প্রার্থী। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ হাবিব, সখীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন সজিব ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম। বিএনপি নেতা মুন্সি কামাল আজাদ পান্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী।

কালীগঞ্জ : কালীগঞ্জে দল মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম। বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর অলিউর রহমানও প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শৈলকুপা : শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু একক প্রার্থী।

কোচাঁদপুর : কোটচাঁদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের তাজুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন।

মাগুরা : সদর বিএনপির একক প্রার্থী জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সাজ্জাদ হোসেন। বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রবিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

শ্রীপুর : শ্রীপুর উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী দলের সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ারদার। বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের সভাপতি বদরুল আলম হিরু প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

নাটোর : সিংড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ দলের প্রার্থী। সেখানে জোটের জামায়াত থানা আমির অধ্যাপক বেলালুজ্জামান বেলালও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নড়াইল : কালিয়া উপজেলায় দল সমর্থিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশজাদুর রহমান মিঠু। নওয়াবুল আলম সাবেক উপজেলা সভাপতি হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী।

মাদারীপুর : কালকিনি উপজেলায় দল সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল হাই একক প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেলেও তার মনোনয়ন ফরম নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দিয়েছে। তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।

নেত্রকোনা: কেন্দুয়ায় জেলা বিএনপি নেতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন একক প্রার্থী।

র্গাপুর: দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম ভূইয়া দলীয় সমর্থন পেয়ে নির্বাচন করছেন। অপরদিকে দীর্ঘদিনের উপজেলা সভাপতি ইমাম হাসান আবু চান প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি। চান বর্তমানে চন্ডিঘর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

সিলেট: জকিগঞ্জে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপি নেতা ইকবাল আহমেদ। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন খালেদ।

কোম্পানীগঞ্জ: সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদ বিএনপি জোটের প্রার্থী। অপরদিকে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাব উদ্দিন হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী।

গোয়াইনঘাট: সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম একক প্রার্থী।

জৈন্তাগঞ্জ: জামায়াত নেতা ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী।

বিশ্বনাথ: বিএনপি নেতা সোহেল আহমেদ চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী। বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা নিজামউদ্দিন সিদ্দিকী।

গোলাপগঞ্জ: উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিলাল আহমদ জোটের সমর্থন পেয়েছেন। অপরদিকে, এমরান আহমেদ চৌধুরী ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নসিরুল হক শাহীন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা দুজনই বিএনপি নেতা।

হবিগঞ্জ : বাহুবল উপজেলায় দলীয় সমর্থন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকাদ্দস বাবুল । মাধবপুর উপজেলায় দলের একক প্রার্থী সৈয়দ শাহজাহান। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি।

মৌলভীবাজার : কুলাউড়ায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি (খালেদা রব্বানী গ্রুপের) শওকতুল ইসলাম সকু ও আবদুল হান্নান (নাসের রহমান গ্রুপের) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ সদরে দেওয়ান জাকেরুল ইসলাম বিএনপি ও জোটের সমর্থিত প্রার্থী। তিনি জেলা বিএনপির সহসভাপতি। উপজেলা সভাপতি আকবর আলীও প্রার্থী। এ ছাড়াও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালেদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দিরাই: হাফিজুর রহমান তালুকদার বিএনপি ও ১৯ দলীয় জোটের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী।

দোহাটা: জামায়াতের উপজেলা আমির আবদুল কুদ্দুস ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান মাস্টার প্রার্থী হয়েছেন।

ছাতক: জামায়াত নেতা এডভোকেট রেজাউল করিম ও বিএনপির নিজামউদ্দিনসহ আরও দুইজন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ: বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপির দক্ষিণ সুনামগঞ্জ শাখার সহ সম্পাদক ফারুক আহমেদ দল সমর্থিত প্রার্থী। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবদল আহ্বায়ক আনসার উদ্দিন ও প্রবাসী বিএনপি নেতা রাজা মিয়া।

খাগড়াছড়ি: সদর উপজেলায় বিএনপি ও ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী কংচাইরী মগ মাস্টার। পানছড়িতে অনিমেষ চাকমা রিংকু বিএনপি জোটের একক প্রার্থী।

মহালছড়ি: মহালছড়ি উপজেলায় বিএনপি জোট কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে সেখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন আবদুল আজিজ।

মাটিরাঙ্গা: চেয়ারম্যান পদে তাজুল ইসলাম তাজু বিএনপি জোটের একক প্রার্থী।

মানিকছড়ি: মানিকছড়ি উপজেলায় বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন এনামুল হক এনাম।

ভোলা : জেলার লালমোহন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা আনিচল হক মিয়া ও চরভোতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান টিটব। এ ছাড়াও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বাবুল পঞ্চায়েতও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চট্টগাম: হাটহাজারী উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল আলম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মিররাই: বিএনপির একক প্রার্থী নুরুল আমিন।

নরসিংদী: পলাশ উপজেলায় বিএনপির একক প্রার্থী আবু বকর।

বেলাবো : বেলাবো উপজেলা যুবদলের সভাপতি বিপ্লব আহমেদ ও জামায়াতের মাওলানা হেলাল উদ্দিন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

শরয়তপুর: জাজিরাতে বিএনপি বা জোট কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি।

ভেদরগঞ্জ: ভেদরগঞ্জ উপজেলায় দলীয় নেতা আনোয়ার হোসেন মাঝি একক প্রার্থী।

ডামুড্যা: ডামুড্যা উপজেলায় দলীয় নেতা ফজলুল করিম মিয়া একক প্রার্থী।

গোসাইরহাট: এ উপজেলায় শাহেদ পারভেজ আব্বাস মোল্লা ও এসএম আলাউদ্দিন সরদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও উপজেলা জামায়াতের আমির সৈয়দ মোহাম্মাদ নাজির উদ্দিনও প্রার্থী হয়েছেন।

পঞ্চগড়: বোদা উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হকিকুল ইসলাম। একই উপজেলা থেকে বিএনপির স্থানীয় আরও দুজন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু একাধিক প্রার্থীর ব্যাপারে বলেন, অনেক আসনেই একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তবে এই অবস্থাটি থাকবে না বলে আমি আশা করছি।

তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করছি যেন প্রতিটি উপজেলায় একজন করে প্রার্থী রাখা যায়। আমরা মনে করি শেষ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি উপজেলায় একজনমাত্র প্রার্থী আমরা রাখতে পারবো।

(দ্য রিপোর্ট/টিএস-এমএইচ/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪)