পরীক্ষার সময় কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রবিবার সকালে এ কথা বলেন তিনি।
পরীক্ষা শেষে আগামী মে মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং আগমী ১ জুলাই থেকে এইচএসসির ক্লাস শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর বিশ্ব ইজতেমার কারণে তা ৯ দিন পর শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অনুরোধে ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষাগুলো এক মাস পিছিয়ে ১৮ ও ২০ মার্চ নেওয়া হবে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ করতে আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৪২৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা হলো ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ ও ছাত্রী ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন।
এসএসসিতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫লাখ ৩৬ হাজার ২১৭ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩৮ জন।
দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৯ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৬০১ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ১৮ হাজার ১৪৮ জন।
এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৪২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৩৮৪ জন ও ছাত্রী ২৭ হাজার ৩৯ জন।
এবার বিদেশের ৭টি কেন্দ্র থেকে মোট ২৯৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এমসি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪)