দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনে উঠতে পারেননি, ইন্ডিয়া থেকে ভাড়া করা ট্র্রেনে উঠেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমদ।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

‘খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচনী ট্রেন মিস করে উপজেলা নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তেব্যের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার ভাড়াকৃত ট্রেন বিতাড়িত করব। বাংলাদেশের ট্রেন চলবে। সেই ট্রেনে মানুষ চড়বে।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের কোনো ট্রেনে চড়তে পারেন নি। সে ট্রেনে জনগণ নেই। প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ট্রেন ভাড়া করে নিয়ে চড়েছেন। তার গার্ড, টিটি, স্পিকার ও মন্ত্রীদের নিয়ে তিনি সেই ভাড়া করা ট্রেনে চড়েছেন।’ সেই ট্রেনের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী শক্তি ও জনগণের কোন সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিম্ন রুচির যেসব কথা বলেন তার উত্তর দেওয়ার ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা যে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি তাতে এ ধরনের অশ্লীল ও নিম্ন রুচির কথা আমরা কখনও বলতে চাই না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডকটিন অফ ফোর্স’ নীতি অবলম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা জোড় জবর দস্তির শক্তি প্রয়োগের নীতিতে অবৈধভাবে জনগণ বিরোধী সরকার হিসেবে নিজস্ব দুর্বৃত্তদের লালন পালন করে ক্ষমতায় থাকার পায়তারা করছে।’

রিজভী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীরা যাতে করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারে সেজন্য সাজানো যৌথবাহিনী দিয়ে ক্রসফায়ার, খুন, গুম, হত্যার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

যৌথ অভিযানের নামে বাসায় গিয়ে বাবা, স্ত্রী, সন্তানদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাতাহার ইউনিয়নের যুবদলের সহ-সভাপতি মনসুর আলীর তিন বছর তিন মাস বয়সের শিশু সন্তানকে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-দলের যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সহ-দফতর আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন জসীম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এমসি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪)