দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি ফজল শাহাবুদ্দীন আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি রাজধানীর বাসাবোতে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছু দিন সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ায় কয়েক দিন আগে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সকালে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকেল ৪টায় প্রথম ও বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চের সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে কবির দাফন সম্পন্ন হবে।

কুমিল্লার নবীনগরের শাহপুরে কবির জন্ম ১৯৩৬ সালে। তার শৈশব কেটেছে ঢাকায়। তিনি ১৯৬২ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও ফজল শাহাবুদ্দীন দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। আশির দশকের সাহিত্য আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘কবিকণ্ঠ’ নামের একটি কবিতা পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ফজল শাহাবুদ্দীনের প্রথম বই ‘তৃষ্ণার অগ্নিতে একা’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। তার সর্বমোট ২৭টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- অকাঙ্ক্ষিত অসুন্দর, আততায়ী সূর্যাস্ত, অন্তরীক্ষে অরণ্য, সান্নিধ্যের আর্তনাদ, আলোহীন অন্ধকারহীন, সনেটগুচ্ছ, অবনিশ্বর দরোজায়, হে নীল সমুদ্র হে বৃক্ষ সবুজ, লংফেলোর নির্বাচিত কবিতা, দিকচিহ্নহীন, ছিন্নভিন্ন কয়েকজন, বাতাসের কাছে, ছায়া ক্রমাগত, নিসর্গের সংলাপ, পৃথিবী আমার পৃথিবী, ক্রন্দনধ্বনি ও ক্রমাগত হাহাকার। সর্বশেষ কবিতার বই ‘একজন কবি একাকি’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।

সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৮৮ সালে একুশে পদক পান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/ডব্লিউএস/এমডি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪)