দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত আশ্রয় নেওয়া শরনার্থীদের জন্য আজও ১৫ পয়সা করে অতিরিক্ত কর দিয়ে যাচ্ছেন গণপরিবহনে যাতায়াত করা মহারাষ্ট্রের যাত্রীরা। আর কত দিন যাত্রীদের এই কর দিতে হবে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন বোম্বে হাইকোর্ট।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণ ভারতে আশ্রয় নিলে তাদের সহযোগিতা করতে ১৯৭১ সালে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার অতিরিক্ত এই কর চালু করে। মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশিরা ফিরে এলেও বহাল রয়েছে এই কর সংগ্রহ। কিন্তু সংগ্রহ করলেও করের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না গণপরিবহন এজেন্সিগুলো। এই টাকা খাদ্য ও পুষ্টি পরিকল্পনা কর্মসূচিতে ব্যবহারের কথা থাকলেও এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে বাসের কর্মচারীদের বেতন প্রদানে।

রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআাই)-এর তথ্যমতে এই কর থেকে রাজ্য সরকারের প্রায় ৪৪২ কোটি রুপি আয় হওয়ার কথা রযেছে।

বিচারপতি এস জে ভাজিফদার ও বিচারপতি কোলাবওলা এই অর্থ ব্যয়ের খাতের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে। আর এই অর্থ যদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না হয়ে থাকে তাহলে সরকার কেন সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি- দিতে হবে তারও ব্যাখ্যা।

থেইন শহরভিত্তিক একজন সামাজিক কর্মী ভিকরান্ত চনদ্রাস তৌদি এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন-পিআইএল) করলে হাইকোর্ট ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সরকারকে নির্দেশ পাঠায়।

অনেকদিন আগে শেষ হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আশ্রয় নেওয়া শরনার্থীদের জন্য বাসযাত্রীরা এখনো কর প্রদান করে যাচ্ছে- এই শিরোনামে ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখে তৌদি জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন।

এক কাজের জন্য সংগ্রহ করা অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করতে সরকারকে বিল পাস করতে হবে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় ফান্ড পরিবর্তন করতে কোনো বিল পাস করেনি বলে তথ্য দিয়েছে আরটিই। অর্থাৎ এই অর্থ এখনো বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের সহযোগিতার জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু ফান্ড পরিবর্তনের বিল পাস না করে সরকার এই অর্থ দুস্থদের সাহায্যের জন্য ‘মিড ডে মিল প্রোগ্রামে’ ব্যবহার করলে তাও হবে বেআইনি। (সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া)

(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪)