দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গত কয়েক মাসের শীতে কাতর নগরবাসীকে রবিবার এক ভিন্ন অনুভূতিতে স্পর্শ করে প্রকৃতি। ফাল্গুনের আগেই গরম যেন কড়া নাড়ল শীত বঞ্চিত মাঘের প্রকৃতিতে।

যারা প্রতিদিনের মত গরম কাপড় নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়েছিলেন বেলা গড়াতে বিপাকে পড়েন তারা। অনেকে আগেই বুঝে নিয়ে গায়ে সোয়েটার কিংবা চাদর না জড়িয়েই বেরিয়ে পড়ছেন। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মতিঝিলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও রাজধানীর বাড্ডার বাসিন্দা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আজকের (রবিবার) আবহাওয়া অস্বস্তিকর। ফ্যান ছাড়লে শীত লাগে আর ফ্যান না ছাড়লে গরম লাগে।’

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ সানাউল হক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নিচ্ছে। আগামীতে আর কোনো শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। ১৫ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির দিকে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর পরই মূলত পুরোদমে গরম শুরু হতে পারে।’

এবার শীতে দেশের বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে বেশ কয়েকটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের শেষে পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও শ্রীমঙ্গলসহ দেশের কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। জানুয়ারির শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত কুয়াশা ও নিচু স্তরের মেঘের কারণে সারাদেশে তাপমাত্রা কমে যায়। শীতে কষ্ট পায় সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া বিজ্ঞান অনুযায়ী, বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাত বিভাগের মধ্যে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৯ ও সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৭, রংপুরে সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৮ ও সর্বনিম্ন ১৫, রাজশাহীতে ২৯ দশমিক ৩ ও সর্বনিম্ন ১৪, সিলেটে সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ৩ ও সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ৮, খুলনায় সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৩ ও সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৮ এবং চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪)