দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রবিবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাবু রহমান, তপন বাগচী এবং সাইম রানা। সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান ছিলেন মাটির গানের এক মহান সাধক। বাংলা সংগীত ভুবনে তিনি যুক্ত করেছেন লোকমানস। সাধারণ মানুষের চিরায়ত আনন্দ-বেদনা তাঁর গানে গভীর বাণীরূপ পেয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সপরিবারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আমরা তা চিরদিন স্মরণ করব।’

আলোচকবৃন্দ বলেন, ‘মোমতাজ আলী খান বাংলা সংগীতের লোক ও গণধারাকে শক্তিশালী করেছেন। বাংলার নিসর্গ ও মানুষ তাঁর গানে অনন্য ব্যঞ্জনায় ভাস্বর। প্রগাঢ় দেশপ্রেম থেকে সংগীত-সাধনার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিস্মৃতপ্রায় এই গুণী শিল্পীকে স্মরণ করে বাংলা একাডেমি আমাদের ধন্যবাদার্হ হয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, প্রচারবিমুখ ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান আমাদের সংগীত ভুবনের এক বিরল নক্ষত্রের নাম। রক্ষণশীল সমাজের নানান প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তিনি আমাদের গানের জগতে যোগ করেছেন নতুনতর মাত্রা। তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হলে আমাদের আজকের প্রজন্মের শিল্পীরা গানের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমের অঙ্গীকারকে ধারণ করতে পারবেন।’

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে রুপু খানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সংগীত একাডেমি।’ আবদুল হালিম খান, মো. আনোয়ার হোসেন, মির্জা শামসুল আলম, আজগর দেওয়ান, শান্তা সরকার, এমেলি পারভীন, আমজাদ দেওয়ান, লিপিকা বিশ্বাস এবং শাহ আলম। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন পিনু সেন দাস (তবলা), হাসান আলী (বাঁশি), দশরথ দাস (দেশী ঢোল), অজিত কুমার কাজল (দোতারা) ও মো. আবেদ হোসেন (মন্দিরা)।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪)