ইউক্রেনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইউক্রেনে ফের ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রবিবার প্রায় ৭০ হাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মার্কিনপন্থী বিক্ষোভকারী দেশটির রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে জড়ো হন। রাশিয়ার সঙ্গে জোট বাঁধায় প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করা পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে ঘরে না ফেরার প্রতিজ্ঞা করেছেন এই বিক্ষোভকারীরা।
কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভকারী নেতারা রবিবার ফের একটি স্থায়ী বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরি করেছেন। ইইউ ও পশ্চিমাপন্থী নতুন একটি সরকার গঠনের দাবিতে ইয়ানুকোভিচের উপর চাপ অব্যাহত রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
বিরোধী নেতা ইগোর লুতসেনকো হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারের অপহরণ ও নির্যাতন কোনো সুফল বয়ে আনেনি।’
২০১৩ সালের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এক অর্থনৈতিক সহায়তা চুক্তি সম্পাদন করার পর থেকেই দেশটির চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সূচনা হয়। ওই চুক্তির পরপরই দেশটির ইইউ ও পশ্চিমাপন্থী জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের দাবি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ ইতোমধ্যেই সরকার ভেঙ্গে দেওয়াসহ আরও কিছু দাবি মেনে নেন। অন্যদিকে, তাকে আবার রাশিয়াকেও শান্ত করতে হবে। কারণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দেওয়া প্রতিশ্রুত ১৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা ছাড় না করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
সোচি অলিম্পিকে যোগ দিতে গিয়ে ইয়ানুকোভিচ শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী এক অবকাশ যাপন কেন্দ্রে বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয় তা এখনও জানা যায়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইয়ানুকোভিচ ওই বৈঠকে অর্থ সহায়তা প্যাকেজ ছাড়ের বিষয়টি তুলেছেন। তবে ইতোমধ্যে রাশিয়া ১৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুত ওই অর্থ সহায়তা প্যাকেজ থেকে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ইউক্রেনকে।
উল্লেখ্য, ১৫ বিলিয়ন ডলারের ওই অর্থ সহায়তা প্যাকেজের বিনিময়ে ইউক্রেন রাশিয়াকে চলমান বাজার দর থেকে এক-তৃতীয়াংশ কম দামে গ্যাস সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা, এনডিটিভি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)