নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : শহরের গলাচিপা এলাকায় রবিবার রাতে র‌্যাবের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, রবিবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব-১১ এর স্পেশাল ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির সাদা পোশাকের একটি টিম গলাচিপা রূপারবাড়ি এলাকায় আসে। ফতুল্লার একজন অপরাধীকে ধরতে ওই অভিযান ছিল বলে পুলিশকে পরে জানিয়েছে র‌্যাব। ওই সময়ে এলাকার লোকজন অভিযানকারী র‌্যাব সদস্যদের ডাকাত ভেবে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। লোকজন র‌্যাবের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেন এবং তাদের মারধর করতে থাকেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অবরুদ্ধ করা লোকজনদের উপর বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকে। একপর্যায়ে এলাকার লোকজনও র‌্যাব সদস্যদের উপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‌্যাব বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

গলাচিপা এলাকায় বসবাসরত আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম জানান, দেলোয়ার হোসেন নামের একজন গুলিবিদ্ধসহ নুরুন্নবী, আবু সালাম, হাসিনা, শেফালী ও তানহা আহত হন। আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে র‌্যাবের ভয়ে অনেকে বিষয়টি প্রকাশ করছেন না।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, র‌্যাব আমাদের জানিয়েছে তারা এক আসামিকে ধরতে গলাচিপা এলাকায় গেলে ডাকাত ভেবে মারধর ও অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকার লোকজন। পরে অতিরিক্ত র‌্যাব সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করে। ওই সময়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ফতুল্লা থানা এলাকার সীমানায় সংঘটিত হয়েছে। এটির তদন্ত চলছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/জেএম/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)