রাষ্ট্রপতির সাজেক সফর বুধবার
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বুধবার রাঙামাটি জেলার সাজেক সফরে আসছেন। রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে সাজেকবাসীর মনে আশা ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে প্রায় এক মাস আগে থেকে শুরু হওয়া নানামুখী আয়োজন এখন শেষ পর্যায়ে। বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে সাজেক সেজেছে অপরূপ সাজে। আর দেশের অভিভাবকের আগমনে বেজায় খুশি সাজেক পাহাড়ের পাংখো, লুসাই আর ত্রিপুরারা। তাদের আশা, রাষ্ট্রপতির আগমনে ভাগ্য খুলে যাবে তাদের।
রাঙামাটি থেকে সাজেক যেতে প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়। আর খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরুত্ব ৮৫ কিলোমিটার।
সাজেক নিয়ে শুধু পাহাড়ের মানুষ নয় সমতলের মানুষেরও আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের আধাযুগের প্রচেষ্টায় খুলে গেছে যোগাযোগের উদার দরজা। আর তাতেই ‘সাজেক’ পরিণত হয়েছে নতুন এক ‘পর্যটক কেন্দ্রে’।
সেনাবাহিনীর উদ্যোগের কারণে সড়ক, স্কুল, গেস্ট হাউস, ক্লাব হাউস, মন্দির আর পানীয় জলের সুব্যবস্থার পর সাজেক হয়ে উঠেছে স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নতুন এক বিনোদন স্পট।
ভারতের সীমান্তবর্তী সাজেকে দাঁড়িয়ে দেখা যায় মিজোরাম রাজ্যের লুসাই পাহাড়। সাজেকে গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আসছেন। এ যেন এক স্বপ্নের রচনা।
রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে পুরো সাজেক নিরাপত্তার চাদরে ডেকে ফেলা হয়েছে।
সাজেকের রুইলুই জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জেমস লনচেও বম বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির শুভাগমনে আমরা খুশি। সরকার ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাজেকবাসী ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে। মৌলিক সব প্রয়োজন এখন অনেকটাই হাতের মুঠোয়।
খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরের সাজেক এখন আর মোটেই দুর্গম নয়। দুর্গম সব পাহাড়ি পথে এখন সাবলীল কুসুমাস্তীর্ণ। রাষ্ট্রপতির সাজেক সফর পাল্টে দেবে স্থানীয়দের সকল দুঃখ-গ্লানি- এমন আশা সাজেকবাসীর।
(দ্য রিপোর্ট/এইচএমপি/ইইউ/এমএআর/শাহ/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)