দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি দেলোয়ার হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।

তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে ২০ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহের রবিবার তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম ইসমাঈল হোসেন সোমবার জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এটিএম গোলাম গাউস।

দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার রবিবার তাজুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিন চান। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪(ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়, যার প্রথমটিতে তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল হতে পারে।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক একেএম মহসিনুজ্জামান খান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তাজরীনের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে পলাতক ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার। আরও পলাতক রয়েছেন প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক।
চার্জশিটে বাকি যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন এবং লোডার শামীম মিয়া। এর মধ্যে আনিসুর রহমান আটক রয়েছেন। বাকি ৬ জন জামিনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ওই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং দুইশতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন।

পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এফএস/এমডি/এমএআর/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)