মার্কিন জেলে বর্বরোচিত নির্যাতনে চিকিৎসকরাও জড়িত
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত জেলগুলোতে কয়েদিদের ওপর চালানো বর্বরোচিত নির্যাতনের সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সরাও জড়িত। এর বিনিময়ে তাদের বিশাল অঙ্কের অর্থ দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েদিদের ওপর চালানো অমানবিক, নির্দয় ও বর্বরোচিত নির্যাতনের পরিকল্পনা ও সরাসরি অংশগ্রহণ করে চিকিৎসক ও নার্সরা। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকা নেয়া এ চিকিৎসকরা কয়েদিদের ভালোভাবে চিকিৎসাও করে না।
বিবিসির এই প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত ছিল সামরিক, স্বাস্থ্য, নীতিশাস্ত্র ও আইন শাখার একদল স্বাধীন কর্মী।
সিআইএ ও পেন্টাগন বিবিসির প্রতিবেদনের এ তথ্য অস্বীকার করেছে।
বিবিসি জানায়, দুই বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া সকল তথ্য মেডিসিন ইনস্টিটিউট ও জর্জ সোরোস ফান্ডের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনে নিরীক্ষা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে আফগানিস্তান ও কিউবার গুয়ান্তানামো বে কারাগারকে কেন্দ্র করে মার্কিন বাহিনী ও চিকিৎসকদের এই গোপন আঁতাত শুরু হয়।
প্রতিবেদনটির একজন সহ-লেখক লিওনার্দো রুবেনস্টেইন বিবিসির নিউজডে’কে বলেন, ‘আমরা খুঁজে পেয়েছি মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সিআইএ কয়েদিদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের যুক্ত করতে নীতিমালা পরিবর্তন করেছে।’
নির্যাতনের একটি উদাহরণ হিসেবে জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ গণস্বাস্থ্য স্কুলের মানবাধিকার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক রুবেনস্টেইন বলেন, ‘কয়েদিদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা প্রায়ই মারাত্মক দমনমূলক চেয়ার ব্যবহার করে যা বিশ্ব চিকিৎসা সংস্থা ও আমেরিকার চিকিৎসা সংস্থার নিয়মানুযায়ী নিষিদ্ধ।’
(দিরিপোর্ট২৪/এসকে/এমডি/নভেম্বর ০৪, ২০১৩)