দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঋণ খেলাপি হয়েও কোন আইনের বলে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে বহাল রয়েছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গনির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

রিটের বিবাদী আ স ম ফিরোজ, নির্বাচন কমিশন সচিব, জাতীয় সংসদের সচিব, আইন সচিব, পটুয়াখালী জেলার রিটার্নিং অফিসার ও রাষ্ট্রয়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হকের পক্ষে অ্যাডভোকেট এম মইনুল ইসলাম এ রিট করেন।

আবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালী জুট মিলসের পরিচালক ছিলেন আ স ম ফিরোজ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। বর্তমানে তার নিকট প্রায় ২৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া তিনি ঋণ খেলাফি থাকা অবস্থায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যা আইন বহির্ভূত।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও এবিএম সিদ্দিকুর রহমান।

শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ১২(১)(ম) তে বলা আছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন আগে ব্যক্তির সকল ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু আ স ম ফিরোজ তার ঋণ পরিশোধ করেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমএআর/১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪)