দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আইসিসির সংস্কার প্রস্তাব; সিঙ্গাপুরে আয়োজন হয়ে যাওয়া সভায় এর অনেক কিছুই পাস হয়ে গেছে। এই প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে ৮টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের প্রতিনিধি। ভোট দানে বিরত ছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। বাংলাদেশও এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ভারত সফরে যাবে। শুধু বাংলাদেশই নয়; এই প্রস্তাবে সহযোগী দেশগুলোও লাভবান হবে বলে মনে করেছেন এন শ্রীনিবাসন।

এই প্রথম ভারত সফরের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন মনে করছেন, ক্রিকেটের পালাবদল হচ্ছে ভালোর জন্যেই। অর্থের দিক দিয়ে ক্রিকেট শক্তিশালীও হবে। প্রশাসনিক ও গঠনের দিকে ক্রিকেট নতুন দিগন্তে প্রবেশ করবে বলেও দাবি করছেন তিনি।

দি হিন্দু পত্রিকার সঙ্গে শ্রীনিবাসন আইসিসির এই প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। আর্থিক দিক দিয়ে পূর্ণ, সহযোগী এবং অধিভুক্ত সদস্যরা লাভবান হবে।'

তবে এই প্রস্তাবে আরও শক্তি ও অর্থের দিক দিয়ে দৃঢ় হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। গত শনিবার সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নিবার্হী বোর্ডের সভায় সকল প্রস্তাব পাস হয়েছে। যে প্রস্তাবনা ছিল সেখানে ৮টি পূর্ণ সদস্য ভোট দিয়েছে। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল চলতি বছরে আইসিসির চেয়ারম্যান হচ্ছেন শ্রীনিবাসন।

এই প্রস্তাব যখন প্রথমে সবার সামনে আসে তখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা পরে সমর্থন করেছে। শ্রীনিবাসন মনে করেছেন, সবার ব্যাপারটি সম্পর্কে পুরো ধারনা না থাকায় দোটানায় ছিল। পরে ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সবাই রাজি হয়েছে। তবে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে শাসকগোষ্ঠী হবে এটা তিনি মানতে নারাজ।

ভারত ক্রিকেটে ৮০ শতাংশ রাজস্ব যোগান দিচ্ছে। এদিকে প্রস্তাবনা পাসের দিন প্রথম যে ব্যাপারটি ছিল তা হচ্ছে ৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটি হবে। সেখানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সব সময় সদস্যই থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/সিজি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)