‘২০১৬ তে ৮৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি গ্যাস উৎপাদিত হবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী ২০১৬ সালের জুন নাগাদ ২৭টি নতুন কূপ খনন, তিনটি কূপের ওয়ার্কওভার কূপ এবং একটি অনুসন্ধান কূপ সম্পন্ন করে দৈনিক ৮৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি গ্যাস উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সোমবার ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশে গ্যাসের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে দৈনিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী ২০১৬ সালের জুন নাগাদ ২৭টি নতুন কূপ খনন এবং তিনটি কূপের ওয়ার্কওভার কূপ এবং একটি অনুসন্ধান কূপ সম্পন্ন করে দৈনিক ৮৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি উৎপাদন হবে। এরমধ্যে আইওসি ছয়টি কূপ খনন করবে এবং বাপেক্স ২১টি কূপ খনন ও তিনটি কূপের ওয়ার্কওভার করবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্র্যাজপ্রমের মাধ্যমে ১০টি কূপ খননের চুক্তি হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বর্তমানে দু’টি রিগ একত্রে কাজ করছে। চারটি উন্নয়ন কূপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ১০টি কূপ খননের কাজ শেষ হলে সিস্টেমে দৈনিক ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস যোগ হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ঢাকা মহানগরীতে সংকট দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা বেশি থাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ আরও বেড়েছে।’
হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ অপচয় রোধে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তবে পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এটা বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
নসরুল হামিদ জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার জন্য সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ছয়টি সোলার চাজিং স্টেশন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ-এইচআর/এনডিএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)