দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী-দর্শনা সেকশনের ১১টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ঈশ্বরদী-দর্শনা সেকশনের ৬৫ বছরের পুরনো সিগন্যালিং ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আধুনিক কম্পিউটার বেজ সিগন্যালিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

রেলভবনের কনফারেন্স হলে (যমুনা) সোমবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (IRCON International Ltd. India) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাগর চক্রবর্তী এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মোহন জাদেজা এই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রেলওয়ের উন্নয়নে ২০ বছর মেয়াদী (২০১০-২০৩০) একটি মাস্টার প্ল্যানে ৪টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় মোট দুই লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা (৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার) ব্যয়ে ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা রয়েছে। উক্ত পরিকল্পনার আওতায় এডিবি’র অর্থায়নে ‘দর্শনা-ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ বাজার সেকশনের বিভিন্ন স্টেশনে লুপলাইন বর্ধিতকরণ ও ইয়ার্ড পুনর্বাসন’ এবং ‘ঈশ্বরদী-দর্শনা সেকশনের মধ্যে ১১টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক দু’টি বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারের আমলে রেলপথ উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে রেল সম্পদ ছিল অবহেলিত। বর্তমানে রেলওয়েতে যত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে তার সবই আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান।’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট স্বাধীনতাবিরোধী। তাদের নাশকতায় রেল সম্পদের কোটি কোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও রেলওয়ে একদিনের জন্য বন্ধ ছিল না। এভাবেই আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।’

বিএনপি-জামায়াতের সকল নাশকতা প্রতিরোধে সরকার সক্ষম বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিজি (অবকাঠামো) আমজাদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক (সিগন্যাল) মো. আনোয়ারুল হক, রেল সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)