দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সোমবার ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলার দশম দিন। বিগত দিনে ছুটির দিনগুলো ছাড়া চোখে পড়ার মতো লোকসমাগম লক্ষ্য করা যায়নি। সোমবারের চিত্র ছিল ক্রেতাবিহীন।

প্রকাশকদের ভাষ্য- ‘পনের তারিখের পরে পুরোদমে জমে উঠবে মেলা। তাছাড়া, দেশের নানা প্রান্তে বসবাসরত মানুষ সাধারণত মেলার শেষের দিকে আসেন।’

অন্বেষা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী শাহাদাৎ হোসেন বলেন- ‘মেলার অদূরে যে শত শত পাইরেটেড বই নিয়ে বসেছে অসাধু লোকজন তাদের বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি ও অভিযোগের পরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

তার এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন বলেন- মেলার মূল পরিধির বাইরে কী হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। আর মেলা অভ্যন্তরের বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি থাকলে অবিলম্বে মোকাবেলা করার জন্য তারা সদা প্রস্তুত।

মেলার নিরাপত্তায় কর্তব্যরত রাজধানীর রমনা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ) জানান, ‘এ মেলা আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই মেলার পরিবেশকে অটুট রাখার কাজে বিঘ্ন ঘটায় এমন কোনো কাজ আমরা এখানে হতে দেব না।’ এ সময় রাস্তার সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি নিজের চোখে দেখুন একটি স্টলও বসেনি কোথাও।’

মেলার দশম দিনে হঠাৎ বিকেলের পরিবেশ সুশৃঙ্খল থাকার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন্স সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টমেন্ট বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শামীমা খাতুনের ‘জীবন স্তব্ধ জেগে ওঠে শব্দ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিকেল ৫টায় মেলায় আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ। তার আগমনকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। রাস্তার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি চলে যাবার পর নিমিষেই বসে যায় এ সব বারোয়ারি পণ্যের পসরা।

অথচ বেনজীর আহমেদ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে মেলার সার্বিক সৌন্দর্য রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কড়া নজর রাখতে আহ্বান জানান। পুলিশের এই কর্তাব্যক্তির নির্দেশের পরও কেন আবারও বারোয়ারি পণ্যের পসরা বসল, এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সৃজনশীল প্রকাশক এবং মেলায় আসা দর্শনার্থী ও পাঠকদের মনে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)