বিডিআর বিদ্রোহে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জড়িত : তোফায়েল
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র একটি সংবাদের উদ্বৃতি দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত। গোয়েন্দা সংস্থাটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও বিডিআর’র সাবেক এক মহাপরিচালকের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’
জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের মূল টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন। কিন্তু ঐদিন বিদ্রোহীরা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র বের করতে না পারায় শেখ হাসিনা বেঁচে যান। পরবর্তীতে তাদের এই ষড়যন্ত্রের শিকার হন নিরীহ ৫৭ মেধাবী সেনা কর্মকর্তা।’
১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতাল প্রসঙ্গে তোফায়েল বলেন, ‘আমরা কী রাজনীতি করছি যে, আমাদের হাত থেকে নিরীহ শিশুও রক্ষা পাচ্ছে না। আমরা কী জনগণের রাজনীতি করি?’
তোফায়েল বলেন, ‘দেশে এখন কী হচ্ছে। বিরোধী দলের হরতালের জন্য দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী বার বার বিরোধীদলীয় নেত্রীকে অনুরোধ করেছেন এই হরতাল প্রত্যাহার করার জন্য। এমনকি এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অনুরোধ করেছেন হরতাল প্রত্যাহারের জন্য। কিন্তু তিনি কারো অনুরোধ রাখলেন না।’
হরতালের সহিংসতার দিকটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য হরতালের আগের দিন থেকেই গাড়ি পোড়ানো, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাংচুর, মানুষ হত্যার মতো কাজ করছে বিরোধী দল। আজকে গাজীপুরে ১০ বছর বয়সি ছেলে মনিরকে একটি পিকআপে রেখে বাবা জানতে গিয়েছেন পিকআপে করে যাওয়া যাবে কিনা। ফিরে এসে বাবা দেখতে পেলেন পিকআপটি আগুনে জ্বলছে। আর সেই আগুনে পুরো শরীর দগ্ধ হয়েছে শিশু মনিরের। এর চাইতে নিষ্ঠুর ঘটনা আর কী হতে পারে?’
তোফয়েল বলেন, ‘যখন সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করছে ঠিক তখনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ও এই বিচারকার্যকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি এসব কর্মকাণ্ড করছে। বিরোধী দল জামায়াতের সঙ্গে এক হয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আলোচনার মন নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ফোন করেছেন। শুরুতে তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন কেমন আছেন? বিরোধীদলীয় নেত্রী সালামের উত্তর না দিয়ে এমন ভাষায় কথা বলা শুরু করলেন যা আমি উল্লেখ করতে বিব্রতবোধ করছি। দেশবাসী সেসব কথা শুনেছে। বিরোধীদলীয় নেত্রীর দেওয়া দুই দিনের আল্টিমেটামের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছেন। হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি হরতাল প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়ে দেন। উনারা (বিএনপি) আলোচনার জন্যও হরতাল দেয়। আলোচনার মন-মানসিকতা থাকলে আসুন হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসুন।’
(দিরিপোর্ট২৪/আরএইচ/আরএইচ/এসকে/ এমডি/নভেম্বর ০৪, ২০১৩)