৬৫ বছর পর মুখোমুখি আলোচনায় চীন-তাইওয়ান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চীন ও তাইওয়ানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মধ্যে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য চারদিনের এই বৈঠকে গণমাধ্যমের স্বাধনীতা চাইবে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আইনসভায় স্থগিত হয়ে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পাসের ব্যাপারে বেইজিং তাইওয়ানকে চাপ দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দুই ভূখণ্ডের মধ্যে সংবাদ আদান-প্রদানের মাধ্যমে স্বাধীন তথ্যপ্রবাহ তৈরির গুরুত্ব বারবারই তুলে ধরেছে তাইওয়ান। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নজরদারি জোরদার থাকায় অনেক তাইওয়ানবাসীই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে সংবেদনশীল।
তবে বেইজিংয়ের আলোচনাকারীরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার চেয়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।
চীনের সঙ্গে হতে যাওয়া বাণিজ্য চুক্তির ফলে তাইওয়ানের প্রযুক্তি খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় বিলিয়ন ডলার বাজেটের এই বিনিয়োগ চীনের মূল ভূখণ্ডেই বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে।
২০০৮ সালে বেইজিংসমর্থিত মা ইং-জিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে। যদিও প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিওর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় নির্বচনে মা ইং-জিওর কুয়োমিনত্যাং পার্টি হেরে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের একটি অংশ বলেই মনে করে আসছে চীন। তবে তাইওয়ান এখনও নিজেদের ‘রিপাবলিক অব চায়না’ হিসেবে পরিচয় দিলেও দেশটি বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট সরকারের নামমাত্র অধীন। (সূত্র : বিবিসি)
(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)