রানা মুহম্মদ মাসুদ, দিরিপোর্ট২৪ : স্কুল-কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগ নেবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন স্কুল-কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সব বোর্ড চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয়।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে নির্দেশনা জারি করেছে।

পরীক্ষা এগিয়ে আনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করেছে। তাই বার্ষিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা হচ্ছে। এ অবস্থায় বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করা সম্ভব নয়।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, ৭ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে ২১ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’

নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলা হয়, সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হলো। সেই সঙ্গে বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সকল পাবলিক পরীক্ষাও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদের দফা (ক) অনুসারে ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর, থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সময়সূচি ঘোষণা করবে। দেশের অধিকাংশ সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও কোন কোন ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও কোন কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএমএম/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ০৪, ২০১৩)