‘হরতাল মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বিঘ্নিত করছে’
ঢাবি সংবাদদাতা : গণপরিষদ ও খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন, জনগণের জন্য সাম্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা সংবিধান ঘোষণাপত্রের অন্যতম অঙ্গীকার। হরতাল দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের এই অধিকার লংঘন করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশের সংবিধানের ‘৪১তম সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চেীধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনের সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘আজকে জনগণের উপর হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আজকে দেশে একজন ব্যক্তি সবকিছু নির্ধারণ করে দিচ্ছেন, যার ফলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। আজকে যারা হরতাল ও ধ্বংসাত্মক কাজ করছে তাদের আসামী করা হচ্ছে কিন্তু তাদের হুকুমদাতা বা এই পরিস্থিতি সৃষ্টির মূলহোতা দেশে অবাধ বিচরণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংবিধান সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে না । অথচ আমেরিকার নাগরিক হতে হলে সংবিধান সম্পর্কে একটি পরীক্ষা দিতে হয়।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নূরুল আমীন বেপারী, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, চেঞ্জ মেকারস্ সভাপতি অ্যাডভোকেট তানবীর সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর কনস্টিটিউশনাল স্টাডিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আরিফ খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সংবিধান সমুন্নত রেখে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।’
মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তি কেন্দ্রিক যে সংবিধান রয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন।’
(দিরিপোর্ট২৪/জেএইচ/আইজেকে/এমডি/নভেম্বর ০৪, ২০১৪)