‘মধ্যবর্তী নির্বাচন কী মামুর বাড়ির আবদার?’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবির সমালোচনা করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন কী ছেলের হাতের মোয়া? না মামুর বাড়ির আবদার?’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত এই সরকার ৫ বছরই ক্ষমতায় থাকবে। মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। বিএনপির সেই সাংগঠনিক ক্ষমতাও নেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার না নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলো তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথা ব্যথা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলো কী হলো না সাধারণ মানুষ তা বিচার করে না। মানুষ বিচার করে যারা নির্বাচিত হলো তারা মানুষকে শান্তি দিতে পারলো কী না। আসলে মানুষ শান্তি চায়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন করার মত শক্তি, সাহস ও নেতা বিএনপিতে নেই। এটি প্রমাণিত। নিজেরা আন্দোলনে থাকবে না। আউটসোর্সিং করে কিছু লোক দিয়ে বোমা মেরে নাশকতা তৈরি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাই তাদের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৯টি জেলায় ১৫২ জনের খুন-গুমের তালিকা সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছেন। অথচ একটি পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়েছে মাত্র ১৭ জন। আমরা এখন ঐ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিশ্বাস করব না খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারকে বিশ্বাস করব।
বিএনপির অবস্থা হয়েছে ১০০ মিটার দৌড়ের মত উল্লেখ করে সাবেক এই আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে স্পীডে বিএনপি দৌঁড়েছে অল্পতেই তারা কাহিল হয়ে গেছে। তারা এমন হাপাচ্ছে যে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খালেদা জিয়া এখন ঢাকা মহানগর কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য যোগ্য নেতা খুঁজে পাচ্ছেন না।’
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে কামরুল বলেন, ‘এখন বিএনপি পিছুটান দিচ্ছে এটা তাদের স্থায়ী চরিত্র নয়। তাদের চরিত্র সন্ত্রাসীর চরিত্র। যে কোনো সময় তারা সন্ত্রাসীরূপে আর্বিভূত হতে পারে। এ জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অতন্দ্রপ্রহরীর মত সজাগ থাকতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার, আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আতিক, চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমসি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)