আবদুর রাজ্জাক শিপনের জন্ম ও বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে। বর্তমানে সৌদি আরব প্রবাসী। তার প্রথম উপন্যাস ‘চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রং’ প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে। নভেলা ‘সোনামুখী সুঁইয়ে রূপোলী সুতো’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়াহিদ সুজন

এবার কি কোনো বই আসছে? কোন প্রকাশনী বের করছে?

হাঁ। এবার একটি গল্প সঙ্কলন আসছে। নাম ‘গল্পপাত’। প্রকাশ করেছে শুদ্ধস্বর।

বইটি সম্পর্কে বলুন ?

আকাশ থেকে টুপটাপ, ঝুপঝাপ বৃষ্টিপাতের মত গল্পপাত হয় না। শব্দের পর শব্দের অবিরাম বর্ষণে গল্পপাত হলে হৃদয় ভেজে কখনও, আমরা টের পাই! গল্পপাত হয় মানব-মানবীর হৃদয়ে, মুখাবয়বে, অশ্রুতে-আনন্দের ফল্গুধারায়... শব্দের অবিরাম এই বর্ষণের নাম তাই- গল্পপাত!

আমার লেখালেখির অধ্যবসায় এক যুগের অধিক সময়। দীর্ঘদিনের লেখালেখির অধ্যবসায়ে সামর্থের খানিকটা হলেও গল্পপাতের গল্পগুলোতে ধরা পড়েছে।

বই প্রকাশে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কি?

বই প্রকাশে যে সমস্যাটিতে প্রায় সকলেই পড়েন বলে আমার ধারণা, তরুণ নতুন লেখকের বই প্রকাশে প্রকাশকের অনাগ্রহ থাকে প্রকট। প্রকাশক ব্যবসা করেন। লাভালাভের ব্যাপারটি তিনি নিশ্চিত করতে চান। নতুনদের বই কম চলে। প্রকাশক রিস্কমুক্ত থাকতে চান। তারপরও নতুন তরুণ লেখকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবার চেষ্টা করছেন কতিপয় প্রকাশক।

বইকে কভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন?

এ ক্ষেত্রে প্রকাশকের ভূমিকাটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রকাশক তার নিয়মিত এজেন্টদের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করতে পারেন।

মেলা থেকে বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে বলুন?

তরুণ-নবীন লেখকদের বই-ই তালিকায় এগিয়ে রয়েছে।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কভাবে দেখছেন?

চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত। লেখক-প্রকাশক-পাঠক এই তিন পক্ষের যৌক্তিক দাবির প্রতিফলন বইমেলার স্থান সম্প্রসারণ।


লেখালেখির ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন?

পরিকল্পনা হল পরিকল্পনাহীনভাবে লিখে যাওয়া, শুধুই লিখে যাওয়া। লেখালেখির এই পথচলাতেই আনন্দ!

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)