দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের সরকারি গুদামে বর্তমানে সাড়ে ৯ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৩৩ হাজার টন চাল ও ২ লাখ ১৭ হাজার টন গম রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম।

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মঙ্গলবার মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ তথ্য দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ খাদ্যশস্য ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে ভাসমান অবস্থায় ৩৩ হাজার টন গম আছে, যা খালাস করা হচ্ছে। সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার (পিএফডিএস) অধীনে খাতসমূহে নিয়মিত খাদ্যশস্য সরবরাহ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ ও বিদেশ থেকে আমদানির কারণে প্রতিদিনই খাদ্যশস্যের মজুদের পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ অব্যাহত আছে এবং বিদেশ থেকে গম আমদানি করা হচ্ছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্যের মজুদ বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা অব্যাহত আছে।’

এমএ মালেকের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারত থেকে প্রতি টন তিনশ’ ২২ দশমিক ৬৮ ডলার গড় মূল্যে তিন লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে প্রতি টন চারশ’ ৬৯ দশমিক ৪১ ডলার গড় মূল্যে চার লাখ ৩৪ হাজার টন চাল এবং ইউক্রেন, অষ্ট্রেলিয়া ও ভারত থেকে দুইশ’ ৯৭ দশমিক ১৮ ডলার গড় মূল্যে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টন গম আমদানি করা হয়।’

এনামুল হকের এক প্রশ্নের উত্তরে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৫টি সাইলো, ১৩টি সিএসডি এবং ৬০৫টি এলএসডি খাদ্য গুদাম আছে। বিগত মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর খাদ্য গুদাম নির্মাণ এবং বিদ্যমান গুদাম মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে কয়েকটি প্রকল্প সমাপ্তির মাধ্যমে খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা ১৪ লাখ টন থেকে ১৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে এক লাখ ৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ১৫৮টি নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আধুনিক খাদ্য গুদাম সুবিধা প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখ টন ধারণ ক্ষমতার দুটি গমের এবং ছয়টি চালের সাইলো নির্মাণও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ-এইচআর/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)