সাগর আনোয়ার, দ্য রিপোর্ট : ৬০ দিন পর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাদের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এরশাদের সভাপতিত্বে জাপার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সভায় এরশাদ জেলা নেতাদের কথা শুনবেন ও বলবেন বলে জানিয়েছেন এরশাদের প্রেস এ-পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়।

তবে জাপার একটি ঘনিষ্ট সূত্র দাবি করেছে, এ সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ থাকবেন না। এ বিষয়ে সুনীল শুভরায় বলেন, ‘রওশন এরশাদ থাকতেও পারেন আবার নাও থাকতে পারেন।’

৬০ দিন পর নেতাকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে কী বলবেন এরশাদ এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধূম্রজাল। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর জাপার একাংশের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিয়েছেন সহধর্মিনী রওশন এরশাদ।

এদিকে ১০ ফেব্রুয়ারি মঞ্জু হত্যা মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার এরশাদ কী বলেন তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘পার্টির ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। স্যার এবার পার্টিকে সুসজ্জিত করবেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সারাদেশে পার্টি গোছাব। স্যার এ জন্য সবার কথা শুনবেন।’

এর আগে ৩ ডিসেম্বর নির্বাচন বর্জনের পর ১১ ডিসেম্বর বারিধারার বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সাবেক এ স্বৈরশাসক। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আত্মহত্যা করব, কিন্তু কেউ আমাকে এখান থেকে নিতে পারবে না। আমি নির্বাচনে নেই, নেই।’

১২ ডিসেম্বর রাতে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদকে তার বারিধারার বাসভবন থেকে র‌্যাব তুলে নিয়ে সিএমএইচ-এ ভর্তি করে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি এরশাদ আবার হাসপাতাল থেকে বারিধারার বাসভবনে ফিরে আসেন। একই দিন এরশাদ মন্ত্রীর পদমর্যাদার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান।

১২ ডিসেম্বর বাসভবনে ফেরার পর এরশাদ সায়েদাবাদ ও কুতুববাগ পীরের দরবানে দোয়া নিতে যান। এরপর একান্তে কয়েকবার কাকরাইল ও গুলশানের কার্যালয়েও যান। কিন্তু গণমাধ্যমকে এড়িয়েছেন বার বার। সর্বশেষ রবিবার বন্ধু কবি ফজল শাহাবুদ্দীনের জানাজায় প্রেস ক্লাবে আসেন এরশাদ। কিন্তু সে সময়ও সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)