বাড়িভাড়া আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেব : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাড়ির মালিকরা যেন যখন-তখন বাড়িভাড়া না বাড়াতে পারেন সে ব্যাপারে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘প্রাইস ট্যাগই সব নয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মঙ্গলবার মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলগুলোর শ্রমিকরা অনেক কষ্ট করে থাকে। তাদের বেতন অনেক কম। কিন্তু মালিকরা এটা বিবেচনা না করেই যখন-তখন বাড়িভাড়া বাড়িয়ে দেয়। যে শ্রমিক আজ এক হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছে, বছর ঘুরতেই বাড়িওয়ালা ভাড়া আটার শ’ থেকে দুই হাজার টাকা করছে। ফলে ওই শ্রমিক মানবিক সমস্যায় পড়ছে। বাড়িওয়ালাদের এই ধরনের আচরণ ফৌজদারি আইনের (ক্রিমিনাল অফেন্স) আওতায় পড়বে। এ সমস্যা নিরসনে শিগগিরই বাড়িভাড়া আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেব।’
মুজিবল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘আশির দশকে অনেকটা অপরিকল্পিতভাবে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো গড়ে উঠেছিল। লাভ দেখে অনেকে অবকাঠামোর কথা চিন্তা না করেই এই খাতে বিনিয়োগ করেছে। যার ফলে প্রায়ই গার্মেন্টসগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সম্ভবনাময় দেশ। আমি বিশ্বাস করি, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ প্রথম স্থান অর্জন করবে। তবে এর জন্য অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ এ সময় তিনি ট্রেড ইউনিয়ন বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ বিন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের বিপক্ষে নই। মালিক ছাড়া শ্রমিক যেমন অচল, তেমনি শ্রমিক ছাড়া মালিকরাও অচল। এ কারণে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।’
ফায়ার বিগ্রেড অ্যান্ড ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পানিও ফুরিয়ে যায়। দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অবকাঠামোগত সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।’ এ সময় শিল্পাঞ্চলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
স্থিতিশীল পোশাকশিল্পের স্বার্থে কারখানার মালিক, পোশাক ক্রেতা, বিজিএমইএসহ সকল পক্ষের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত এই গোলটেবিল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শিরিন আখতার ও বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ বিন মাহমুদ।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এসকে/ এনআই/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)