দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মাছরাঙা টেলিভিশনে সৌন্দর্যচর্চা বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘রূপকথা’য় অতিথি হিসেবে আসছেন ডিসকো জকি (ডিজে) সোনিকা। বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানালেন বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নানা কথা।

দ্য রিপোর্ট: ক্যারিয়ার শুরু যেভাবে…

সোনিকা: ২০০৭ সালে ডিজে হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। ডিজে রাহাত আমাকে প্রেরণা দেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অনেকের সঙ্গে কাজ করেছি। এখন ডিজে প্রিন্সের সঙ্গে কাজ করছি।

দ্য রিপোর্ট : সোনিকার ব্যস্ততা অবসরের গল্প…

সোনিকা : এখন একটু ব্রেক নিচ্ছি। জানুয়ারি মাসে কোনো কাজ করিনি। পুরো ফেব্রুয়ারিতেও কোনো কাজ করব না। মার্চ থেকে সবার সামনে নতুনভাবে আসব।

দ্য রিপোর্ট : নতুনভাবে আসার পরিকল্পনা কী?

সোনিকা : এতদিন তো ডিজে হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় শো করেছি। এবার নিজেই ডিজে শো অর্গানাইজ করব। আর এ আয়োজনে নতুনত্ব থাকবে।

দ্য রিপোর্ট: ডিসকো জকির (ডিজে) অবস্থান দেশে কেমন দেখছেন?

সোনিকা : অবশ্যই ভালো। এখন তো বিয়ের অনুষ্ঠান ও কর্পোরেট শোতে ডিসকো জকির ব্যবস্থা করা হয়। আগে শুধু ব্যান্ড শোতে এ ব্যবস্থা থাকত। বিনোদনের জন্য ডিজেরা অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। এ ছাড়া শো করে ভালো উপার্জনও করা সম্ভব। আগে তো এটিকে পেশা হিসেবে নেওয়া যেত না। এখন নেওয়া যায়।

দ্য রিপোর্ট : শো করতে কোনো সমস্যা হয় না?

সোনিকা : আমি যখন ডিজে হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন তো এ পেশায় কোনো মেয়ে ছিল না। এখন মেয়েরা আসছেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। অনেক সময় রাতে শো শেষ হয়। নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানো নিয়ে চিন্তায় থাকি। এ ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।

দ্য রিপোর্ট : দেশের বাইরেও তো শো করেছেন?

সোনিকা : ২০১২ সালে থাইল্যান্ডে গিয়ে শো করেছি। কোনো মেয়ে ডিজে হিসেবে আমি প্রথম বাংলাদেশি, যে কিনা বাইরে শো করেছেন। এ বছর ইংল্যান্ড, লেবানন, মালদ্বীপ ও ভারতে শো আছে।

দ্য রিপোর্ট : আপনি তো উপস্থাপনা করেন। উপস্থাপনার গল্প বলুন।

সোনিকা : একুশে টিভি, এসএ টিভি, আর টিভিতে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। মিউজিকের অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনা করি। তবে দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা আসল কথা। ডিজে হিসেবে গানের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করি আর উপস্থাপক হিসেবে সংযোগ স্থাপন করি কথার মাধ্যমে।

দ্য রিপোর্ট : ভালো ডিজে হতে যে যে গুণাবলী থাকা দরকার…

সোনিকা : গান সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকতে হবে। ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহার ভালো জানতে হবে। অনেকে শখের বশে এ ক্যারিয়ারে আসেন, অল্প কয়েক দিন ডিজেইং করেন, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি করেন, তারপর তাদের আর খোঁজ থাকে না। এ ক্যারিয়ারে উন্নতি করার জন্য ডিটারমিনেশন থাকতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/একে/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)