জিএসপি ফাইন্যান্স ও ঢাকা ডাইংয়ের রাইটের আবেদন নাকচ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাইট শেয়ারসংক্রান্ত নীতিমালা পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দুটি কোম্পানির আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কোম্পানি দুটি হলো জিএসপি ফাইন্যান্স ও ঢাকা ডাইং। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিচালকদের মধ্যে ঋণলেলাপি থাকা এবং ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন না করায় ঢাকা ডাইংয়ের রাইট শেয়ার ছাড়ার আবেদন আমলে নেয়নি বিএসইসি।
বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা ডাইং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (রাইট ইস্যু) রুলস-২০০৬ এর ৩(এফ) ও ৩(জি) ধারা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। উপরোক্ত কারণে বিএসইসি এ কোম্পানির রাইট শেয়ারের আবেদন আমলে নেয়নি।
এর আগে ঢাকা ডাইং কর্তৃপক্ষ রাইট শেয়ারসংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর আবেদন করলে তাও আমলে নেয়নি বিএসইসি।
ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ১:১ অনুপাতে (১টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট) রাইট শেয়ার ছাড়ার আবেদন করে। ফেস ভ্যালু ১০ টাকার সঙ্গে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫ টাকা।
উল্লেখ্য, রাইট ইস্যু রুলস-২০০৬ এর ৩ (এফ) ধারায় রয়েছে, ইস্যুয়ারের (কোম্পানি) কোনো পরিচালক ঋণখেলাপি হতে পারবে না এবং (জি) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রিমিয়ামসহ (অধিকমূল্য) আবেদন করা হলে ইস্যুয়ারকে তার আগে ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করতে হবে।
অপরদিকে, কর্পোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন্স (সিজিজি) ও আর্ন্তজাতিক হিসাবমান (আইএএস) পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় জিএসপি ফাইন্যান্সের রাইট শেয়ার ছাড়ার আবেদন নাকচ করেছে বিএসইসি।
বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৬-১৫৮/১৩৪/অ্যাডমিন/৪৪, তারিখ ০৭.০৮.২০১২ এর নির্দেশনা অনুযায়ী জিএসপি ফাইন্যান্স নির্দিষ্টসংখ্যক (প্রতি পাঁচজনে একজন) স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারেনি।
এ ছাড়া ২০০৯ ও ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ‘ওপেনিং ক্যাশ অ্যান্ড ইক্যুইভেলেন্টস’ এবং ‘ক্লোজিং ক্যাশ অ্যান্ড ইক্যুইভেলেন্টস’ এর মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুসরণ করেনি জিএসপি ফাইন্যান্স। এ সব কারণে রাইট শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহে এ কোম্পানির আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জিএসইপি ফাইন্যান্স ২:৩ অনুপাতে (৩টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ২টি রাইট) রাইট শেয়ার ছাড়ার আবেদন করে। প্রতিটি রাইট শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা। এজন্য গত বছরের ২১ অক্টোবর বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএন/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)