দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে শুক্রবার শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ‘লোক কারুশিল্প ও লোকজ উৎসব’। তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে বুধবার সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হবে।’

সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, প্রতিভাবান কারুশিল্পী ও লোকসঙ্গীতশিল্পীদের নিজ নিজ প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশের সুযোগ দিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

মেলায় অংশ নিচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৪৪ জন কারুশিল্পী। তাদের জন্য ২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলায় ঠাঁই পাচ্ছে হস্তশিল্পের ৪৯টি, পোশাকের ৪০টি, স্টেশনারি ও কসমেটিক্সের ৩৬টি, খাবার ও চটপটির ২৫টি, মিষ্টির ১২টি এবং দুটি সংরক্ষিত স্টলসহ ১৮৪টি স্টল।

নূর জানান, ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের নকশিকাঁথা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, সিলেটের শীতলপাটি, ধারমরাইয়ের তামা-কাঁসা ও পিতলের কারুশিল্প, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাশিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশের কারুশিল্প মেলায় স্থান পাচ্ছে।

এ ছাড়া বাউল, পালা, কবি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি, সারি, হাছন রাজার গান, লালন, মাইজভাণ্ডারি, মুর্শিদি, আলকাপ, গায়ে হলুদের গানেরও আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথিপাঠ, ঘুড়ি ওড়ানো, বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ খেলা ছাড়াও ৮টি সেমিনার আয়োজন করা হবে বলেও জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী।

মেলা ও লোকজ উৎসবে মমতাজ, বারী সিদ্দিকী, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফকির আলমগীর, কিরণ চন্দ্র রায়, কাঙ্গালিনী সুফিয়াসহ দেশবরণ্য লোকশিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/একে/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)