সৌদির সঙ্গে হজ চুক্তি ১৬ ফেব্রুয়ারি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি বছর হজের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। সরকার চাইবে এ চুক্তির আওতায় এবার যেন এক লাখ ৩০ হাজার লোক হজ পালন করতে পারে। তবে সর্বোচ্চ কতজন হজে যেতে পারবেন তা দুইপক্ষের আলোচনার মাধ্যমেই চূড়ান্ত হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সৌদি আরবের প্রস্তুতি পর্ব শেষ হওয়ার পর আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। গত বছরের মত এবারও দুটি প্যাকেজ থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব যাচ্ছেন। সফরসূচি থেকে জানা গেছে, এ প্রতিনিধি দলে ধর্ম সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব হাসান জাহাঙ্গীর আলম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (হজ) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ধর্মমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ থাকছেন। সফর শেষে প্রতিনিধি দল ২২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবে।
সফরসূচি থেকে আরও জানা গেছে, হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ সৌদি আরবের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি চুক্তি করবে। এর মধ্যে হজযাত্রীর সংখ্যা, মোয়াল্লেম ফিসহ আরও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সৌদি হজমন্ত্রীর সঙ্গে হজ চুক্তি হবে। মূল এ চুক্তিটি হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি।
এ ছাড়া জেদ্দা-মক্কা-মদীনায় যাওয়া আসা নিয়ে জেনারেল কার সিন্ডিকেট ও মদীনা আদিল্লা অফিসের সঙ্গে চুক্তি। সৌদি বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইউনাইটেড অফিসের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হবে। ১৭, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি এ চুক্তিগুলো হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (হজ) মো. জাহাঙ্গীর আলম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘চলতি বছর হজ পালনের জন্য ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব যাচ্ছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের ধর্মমন্ত্রী ও সৌদি আরবের হজমন্ত্রীর সঙ্গে হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে আমরা এক লাখ ৩০ হাজার হজযাত্রীর জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রত্যাশা করছি। তবে বিষয়টি সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। অন্যান্য দেশের জন্য যে নীতি আমাদের জন্যও তাই প্রযোজ্য হবে।’
চুক্তির পর আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে হজ প্যাকেজ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ৮৭ হাজার ৮৫৪ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। ৬২৮টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি হজযাত্রীরা হজ পালন করে। প্রতিবছর হজযাত্রী বাড়লেও নির্বাচন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞাসহ নানা কারণে গত বছর হজযাত্রী অনেক কম হয়। ২০১২ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন।
গত বছর প্রথমবারের মত সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম চালু করা হয়। প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় তিন লাখ ৪৭ হাজার ২৭ টাকা। অপরদিকে সাশ্রয়ী প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে খরচ হয় দুই লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ টাকা। দুটি প্যাকেজেই কোরবানির জন্য আলাদা অর্থ নেওয়া হয়। মক্কার হেরেম শরিফ থেকে আবাসস্থলের দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে দুটি প্যাকেজ করা হয় বলে তখন ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল।
২০১২ সালে একটি হজ প্যাকেজের আওতায় হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ৪৪০ টাকা। হজ এজেন্সিগুলো সরকারিভাবে নির্ধারিত খরচের কম নিতে পারে না।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমসি/সা/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)