রাবিতে পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
রাবি সংবাদদাতা : চতুর্থ বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়।
অলিম্পিয়াডে বগুড়া, পাবনা, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার ১২টি কলেজ এবং ১৫টি স্কুলের দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয়ভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করে রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান ক্লাব।
বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে ৫৫ শিক্ষার্থী জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হন। রাজশাহী বিভাগ থেকে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৮ জন, নবম ও দশম শ্রেণীর ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২৫ জন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২২ জন জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয় অলিম্পিয়াড থেকে নির্বাচিত ৫ জন কাজাখস্তানের আস্তানায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অলিম্পিয়াডের বিভাগীয় পর্যায়ের সমন্বয়কারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ শামস বিন তারিক।
অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন অপর সমন্বয়কারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এবং পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য আহমেদ মাকসুদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক রাজশাহী শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফুর রহমান।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অলিম্পিয়াডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মুক্ত আলোচনাপর্ব এবং পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। মুক্ত আলোচনা পর্বে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্য্য, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রেজাউল ইসলাম এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সালেহ হাসান নকীব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অলিম্পিয়াডের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ প্রমাণ করে নতুন প্রজন্ম বিজ্ঞান চর্চায় কতটা আগ্রহী। এ সব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসছে। তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের সুনাম অর্জন করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তুলে নিয়ে আসাই আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএএ/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)