এমপি এনামুল ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নানের নথিপত্র তলব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজশাহী-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. আবদুল মান্নান খানের সম্পদের তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে এ নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয় থেকে বুধবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে জরুরিভিত্তিতে নথিপত্র তলব করে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এবং উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন নথিপত্র তলব করে এ চিঠি দিয়েছেন। দুদক সূত্র এ সব তথ্য দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ পোস্ট অফিস (জিপিও), ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই/সিএসই), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের কাছে এমপি এনামুল ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য জরুরিভিত্তিতে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক আলফালা এবং ফেনিক্স ইন্টারন্যাশনালের কাছে এমপি এনামুলের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নানের সম্পদের তথ্য চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সমবায় পরিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এমপি এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ :
২০০৮ সালে এনামুল হকের বেতন-ভাতা থেকে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পরে এখন কৃষি, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার ওপর নির্ভরশীলদের সাত লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা বার্ষিক আয় থাকলেও এবারের হলফনামায় নির্ভরশীলদের কোনো আয়ের উৎস নেই। তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের মোট ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাধারণ শেয়ার থেকে কোনো আয় নেই।
পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর থাকা দুই কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকায়। যার মধ্যে এবার নিজের হাতে নগদ রয়েছে ১০ লাখ টাকা ও স্ত্রীর হাতে পাঁচ লাখ টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে আছে আট লাখ ৫৮ হাজার ৯১ টাকা ও স্ত্রীর নামে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ :
পাঁচ বছর আগে অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানের সাকল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেটা হয়েছে ১১ কোটি তিন লাখ টাকা। আগে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকায়। পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বকালে তার সম্পত্তি ১০৭ গুণ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি এমপি এনামুল ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নানসহ সাতজনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)