যশোরে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
যক্ষ্মা প্রবণতায় বাংলাদেশ ষষ্ঠ
যশোর অফিস : বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগীর ৮০ শতাংশের বসবাস ২২টি দেশে। আর এই ২২ দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যশোরে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বুধবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোর মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম : সর্বস্তরের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক বৈঠকটি প্রেস ক্লাব যশোর ও ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি ব্যাপক তৎপরতার কারণে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। যক্ষ্মামুক্ত দেশ গঠনে সরকার বদ্ধপরিকর। সে কারণে কফ পরীক্ষা, এক্সরেসহ অন্যান্য পরীক্ষা এবং রোগীর ওষুধ সবকিছুই বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।
বৈঠকে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে যশোর জেলায় তিন হাজার ১৪০ জনের কফ পরীক্ষা করে ১৯১ জন যক্ষ্মা রোগী পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কফ পরীক্ষার বাইরেও রয়েছে যক্ষ্মা রোগী।
যক্ষ্মা কি, কীভাবে হয় এবং তার চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনাকালে যশোর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, তিন সপ্তাহের বেশি কাশি ও জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কফ পরীক্ষা বা এক্সরের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া জরুরি তার যক্ষ্মা হয়েছে কী না।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মেডিকেল অফিসার ডা. ইমদাদুল হক জানান, যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করাই হলো প্রধান কাজ। বাংলাদেশ ২০১৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে শতভাগ সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে আলোচনাকালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, যক্ষ্মা রোগীর ওষুধ সেবন করতে হয় কমপক্ষে ছয় মাস। কিন্তু অনেকেই অজ্ঞতাবশত কোর্স সম্পন্ন করেন না। সে কারণে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স (এমডিআর) টিবি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এমডিআর হলে তা সহজে নিরাময় হয় না। সে ক্ষেত্রে ২৪ মাস পর্যন্ত সময়কাল ধরে চিকিৎসাসেবা নিতে হয় রোগীকে। এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, এএসপি (সদর সার্কেল) রেশমা শারমীন, প্রেস ক্লাব যশোরের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুর রউফ, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি মধুসূদন দে প্রমুখ। প্রেস ক্লাব সেক্রেটারি আহসান কবীরের সঞ্চালনায় বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/একে/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)