আলীমের রায় বুধবার
আলীম হচ্ছেন বিএনপির দ্বিতীয় নেতা, যার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় হতে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং এসব অপরাধে উস্কানি ও সহযোগিতার ১৭টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আসামি ও প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল-২ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। ওইদিনই জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি হবে অষ্টম রায়। গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল-১।
গত বছরের ১১ জুন সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ১৭টি অভিযোগে আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এগুলোর মধ্যে ১৫টিতে বিভিন্ন ঘটনায় মোট ৫৮৫ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। বাকি দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, আটক ও দেশান্তরে বাধ্য করার ঘটনা।
২০১১ সালের ২৭ মার্চ জয়পুরহাটের বাড়ি থেকে আলীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর চারদিন পরএক লাখ টাকা মুচলেকায় ছেলে ফয়সাল আলীম ও আইনজীবী তাজুল ইসলামের জিম্মায় শর্তসাপেক্ষে তাকে জামিন দেওয়া হয়। পরে এর মেয়াদ কয়েকদফা বাড়ানো হয়।
১৯৭৫ ও ১৯৭৭ সালে জয়পুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলীম। ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনি বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমানের সরকারে সময় প্রথমে বস্ত্রমন্ত্রী এবং পরে যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএসআর/এমএআর/জেএম/অক্টোবর ০৮, ২০১৩)
এ সংক্রান্ত আরো খবর