‘একাদশ নির্বাচন ২০১৯ সালে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বর্তমান সরকার তার পূর্ণ মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনও বর্তমান সংবিধান মোতাবেকই অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে আমাদের দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি আছে, আমরা সংবিধান সংশোধন করতে পারি। কিন্তু সংবিধান সংশোধন করার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। যত চাপই আসুক আমরা সংবিধান সংশোধন করব না। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন, অতীতে যেভাবে হয়েছে।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও ‘ষড়যন্ত্র’ এখনো চলছে জানিয়ে দলীয় নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, এ সরকার গঠনের পর ইশতেহার বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। শুরু থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। একদিনও সময় অপব্যবহার করেননি। সেজন্যই জনগণ বার বার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছে। আমি আশা করি, এবারো প্রধানমন্ত্রী সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, সমগ্র দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। সবাই অনুরোধ করবো উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রীসারা দেশের নেতাকর্মীদের চিঠি পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কিভাবে তৃণমূল কমিটি প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে সে কথা বলা হয়েছে। আমাদের প্রতিটি উপজেলা তৃণমূলের মাধ্যমে প্রার্থী চুড়ান্ত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী কোনদিনই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেননি জানিয়ে আশরাফ বলেন, এ নির্বাচনও অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে। উপজেলায় যারা নির্বাচন করবেন তারা যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাতে পেছনের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। আগামী নির্বাচন বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
সূচনা বক্তব্যের পরে বৈঠক শুরু হয়। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/জেএম/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)