দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শাহাদাৎ সুজনের পরিচালনায় ‘শোধ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন অভিনেতা শোয়েব। আর এই নাটকটির মধ্য দিয়ে ৮ মাস পর নাটকে অভিনয় করলেন তিনি।

অভিনয়ের সময় না দেওয়া সম্পর্কে শোয়েব দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এখন নাটকে তেমন অভিনয় করি না। ব্যবসায়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। মঞ্চ নাটক করার সময় ভেবেছিলাম, মানুষের জন্য কিছু একটা করব। সমাজের উপকার করব। নাটকের মাধ্যমে করতে পারিনি। তাই ব্যবসায়ের মাধ্যমে চেষ্টা করছি। অনেক লোকের কর্মসংস্থান করতে পারছি তো।’

নাটকের প্রতি এতটা ক্ষোভের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আর নাটকে নিঃশ্বাস নিতে পারি না। ‘খাইছি, গেছি গ্রুপেরা যা শুরু করেছে! তারা এখন সুপার ট্যালেন্ট। স্ক্রিপ্ট ছাড়া কাজ করতে পারে। আমি পারি না। মঞ্চে থাকাকালীন নাটকের যে সংজ্ঞা জেনেছিলাম। এখনকার নাটক তা থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। আচ্ছা, আমরা ঘরে যা বলি, যা করি, ক্যামেরার সামনেও তাই করব? কেন? তাহলে নাটকের বৈচিত্র্য থাকল কোথায়?’

এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বড়রা দিকনির্দেশনা দিচ্ছে না। যখন এই খাইছি গেছি গ্রুপ এলো, তখন তাদের বাধা দিলেই তো হত। আর চ্যানেলগুলোকে এই সম্পর্কে বেশি সচেতন হতে হবে। চ্যানেল যদি এ রকম নাটক না নেয়, তাহলে তো তারা এগুতে পারবে না। আসলে আন্দোলন করার তো কেউ নেই।’

এই পরিস্থিতির প্রভাব সম্পর্কে শোয়েব বলেন, ‘আসলে সবই হয়েছে প্যাকেজ। কোচিং সেন্টারে পড়লে যেমন ১০০ তে ১০০ পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। তেমনি কম বাজেটে নাটক বানানো হয়। তিন লাখ টাকায় যে নাটক বানানো হয়, তা যদি দেড় লাখ টাকায় বানানো হয়। সেটার মান থাকবে কীভাবে? চ্যানেল টাকা দিতে চায় না। যে জিনিস সহজলভ্য হয়ে যায়, মানুষ তা আর গ্রহণ করে না। নাটকও তাই। দর্শক এ ধরনের নাটক প্রত্যাখ্যান করছে।’

এর থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চ্যানেলগুলোর উদ্যোগ নিতে হবে। চ্যানেল যদি ভালো পরিমাণ টাকা দিয়ে ভালো কাজ নেয়, তাহলে মানও ঠিক হবে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। আর শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পাশাপাশি সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/সা/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)