ভারতের মঙ্গল অভিযানের ১০ তথ্য
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : মহাকাশ গবেষণায় এবার শামিল হচ্ছে ভারত। এ লক্ষ্যে দেশটি ৪৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে মঙ্গলে পাঠাচ্ছে তাদের নিজস্ব নভোযান ‘মঙ্গলায়া’। চেন্নাই থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে শ্রীহরিকোটা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া ভারতের এ মঙ্গলযাত্রার ১০ তথ্য তুলে ধরেছে এনডিটিভি।
১. ভারতের এ নভোযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মঙ্গলায়া’ হিন্দিতে যাকে বলা হয় ‘মঙ্গলগ্রহের যান’। ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের রাজধানী চেন্নাই থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে যাত্রা করবে মঙ্গলায়া।
২. ‘লাল গ্রহ’ নামে পরিচিত মঙ্গলে পৌছানোর এ পদক্ষেপ যদি সফল হয় তবে ভারত হবে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ইউরোপের পর চতুর্থ দেশ বা গোষ্ঠী।
৩. মঙ্গলে পৌছানোর জন্য এটি ভারতের প্রথম পদক্ষেপ। এর আগে কোন দেশই এ কাজে তাদের প্রথম পদক্ষেপে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। পাশাপাশি এ পর্যন্ত গ্রহটিতে পৌছানোর ৪০টি অভিযানের ২৩টিই ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন-জাপানও। এশিয়ার দেশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে জাপানের এবং ২০১১ সালে চীনের মঙ্গল অভিযান ব্যর্থ হয়।
৪. মঙ্গলায়ার এ অভিযানে ব্যবহার করা হবে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি অতিরিক্ত রকেট সংযোজিত মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের একটি উন্নত সংস্করণ। নতুন এ সংস্করণটি মঙ্গলায়াকে পৃথিবীর উপবৃত্তাকার চাপ ভেদ করে মহাকাশে নিয়ে যাবে। এরপর উপগ্রহের এ যানটি মঙ্গলের অভিমুখে যাত্রা করার আগ পর্যন্ত উচ্চতর কক্ষেপথে চলতে থাকবে।
৫. মঙ্গলের আকাশে ৩০০ দিনে ৭৮০ মিলিয়ন কিলোমিটারের এক অভিযাত্রায় গ্রহটির ভূপ্রকৃতি ও বায়ুমণ্ডল নিয়ে জরিপ চালাবে মঙ্গলায়া।
৬. এ অভিযানে মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠ থেকে সর্বনিম্ন ৩৬৫ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৮০ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করবে মঙ্গলায়া।
৭. পাঁচটি সৌরচালিত সরঞ্জামের সাহায্যে মঙ্গলায়া মঙ্গল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। এর সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে থাকবে মঙ্গলের আবহাওয়া ব্যবস্থা কিভাবে কাজ করে এবং এক সময় গ্রহটিতে থাকা বিশাল পরিমাণ পানির কী হয়েছে।
৮. এছাড়াও মঙ্গলায়া গ্রহটিতে মিথেন গ্যাসের অনুসন্ধান করবে যা পৃথিবীতে জীবন ধারণের জন্য একটি প্রধান উপদান। এটি ভূতাত্বিক জরিপ থেকেই অনুসন্ধান করা হবে।
৯. যদিও নিশ্চিতভাবেই কোনো যন্ত্রই সকল প্রশ্নের পর্যপ্ত উত্তর পাঠাতে পারবে না তারপরও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গ্রহটির ভূ-প্রাকৃতিক গঠন, এতে জীবন ধরনের জন্য কী কী প্রয়োজন এবং মহাবিশ্বের আর কোথায় তা থাকতে পারে সেসব বিষয়ে অধিকতর ধারণা দিতে পারবে।
১০. এর আগে ২০০৮-০৯ সালে ভারতের মহাকাশ এবং গবেষণা সংস্থা চন্দ্রয়া-১ নামের একটি নভোযান সফলভাবে চাঁদে অবতরণে সক্ষম হয়েছিল যা পানির অস্থিত্বের প্রমাণ খুঁজে পেয়েছিল। চন্দ্রয়ার অভিযানের সময় পরীক্ষিত প্রযুক্তি থেকে মঙ্গলায় নভোযানটি উন্নত করা হয়েছে।
(দিরিপোর্ট২৪/এআইএম/জেএম/নভেম্বর ০৫, ২০১৩)