দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে পুলিশের গাড়িতে বসে ২০ কিশোরের কফ সিরাপ (ফেনসিডিল) গ্রহণ করার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ‘২০ কিশোরের ভয়ংকর প্রতিবাদ’ নামক প্রকাশিত সংবাদটি আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আদালতের নজরে আনলে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রভিশনাল কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া শিশু সংশোধনী কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ এবং কফ সিরাপ গ্রহণ করায় অসুস্থ শিশুদের অবস্থা সম্পর্কে তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

সমাজ কল্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নিয়ে করা কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার পুলিশের গাড়িতে বসে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ২০ কিশোর কফ সিরাপ গ্রহণ করার পর ধারালো ব্লেড দিয়ে তাদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে।

দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমডি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪