দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির কোনো চিন্তা করিনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ড. সাঈদ বিন হাজার আল সেহির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় খুব একটা হেরফের হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সময় বাড়লে নদী শাসনের ক্ষেত্রে ব্যয় হয়ত কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ নদীর গতিপথ কখন কোন দিকে যায় তা বলা যায় না। মূল সেতুতে ব্যয় বাড়ার কোনো কারণ নেই। তবে আমরা এখন পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির চিন্তা করিনি।

পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নদী শাসনের কারিগরি প্রস্তাব পাব। পাঁচটি কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছে, আশা করছি তারা সবাই করিগরি প্রস্তাব দেবে। কারিগরি কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কার্যাদেশ দেবে। আশা করছি নদীশাসন ও মূল সেতু নির্মাণকাজ এক সঙ্গে শুরু করতে পারব।

নিজস্ব অর্থায়নেই সব কাজ করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নেই আমরা করছি। এটা কোনো নতুন বিষয় নয়। অর্থমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, আমাদের ১৮ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। রিজার্ভ থেকে আমরা ২ বিলিয়ন খরচ করলে আমাদের অনেকগুণ সময় বাঁচাতে পারব, অনেকগুণ বেশি আয় আমাদের অর্থনীতিতে যুক্ত করতে পারব। এটা আমাদের লস না, এটা আমাদের ইনভেস্টমেন্ট।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের ডিজাইন, বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনা, বিশ্বব্যাংকের নকশা অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। মূল সেতু ও নদী শাসনের দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বব্যাংকের প্রাক-যোগ্যতা অর্জন করা, বাংলাদেশ নতুন করে কিছু করেনি।

২৯১ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করেছিল বিশ্বব্যাংক। তবে প্রকল্পের পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠায় সেই অর্থ আটকে যায়। ওই অভিযোগের তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান প্রসিকিউটর ও’কাম্পোর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের পর্যবেক্ষক দল দুই দফা বাংলাদেশ সফর করে। পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার আগেই চলতি বছর জানুয়ারিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থ নেবে না বলে জানিয়ে দেয় সরকার।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পিপিপি (সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব) প্রকল্পগুলো রাষ্ট্রদূত চেয়েছেন। তাকে প্রকল্পের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কোনগুলোতে অংশ নেবেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমডি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)